মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও মিলছে না DA! রাজ্য সচিবের কীর্তি ফাঁস করলেন সরকারি কর্মীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেতনের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারিদের ক্ষেত্রে DA বা মহার্ঘ্য ভাতার (Dearness Allowance) গুরুত্বটাও যথেষ্ট বেশি। কারণ ডিএ বাবদ মেলা টাকার অঙ্কটাও কম নয়। এমন আবহে যদি আপনার প্রাপ্য টাকা আটকে থাকে তাহলে তো মাথায় হাত পড়বেই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত চাকরিজীবীদের এই ঝামেলা পোহাতে হয়না। এই মুহূর্তে তারা ৫০ শতাংশ হারে DA পাচ্ছেন।

কেন্দ্রের পাশাপাশি বেশ কিছু রাজ্যও তাদের কর্মীদের জন্য DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। ভোটের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গও। তবে ঘোষণা তো হয়েছে কিন্তু সেই টাকা কি মিলছে? উল্লেখ্য যে, দিনকয়েক আগেই তামিলনাড়ুতে ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল সেরাজ্যের সরকার। আর এবার সেই DA নিয়েই শুরু হল চরম অশান্তি।

ঘোষণা হলেও মিলছে না DA : সূত্রের খবর, DA বৃদ্ধির ঘোষণা করা হলেও মিলছেনা সেই টাকা। সম্প্রতি এই নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। সূত্রের খবর, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে মোট ৮০০ জন কর্মচারী রয়েছেন। তবে এই ৮০০ জনের কারও অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন : RCB-র বিরুদ্ধে বাদ পড়ছেন KKR-র ২৫ কোটির বোলার! নজর এই দুই বিদেশির উপর

অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করার পরও মেলেনি DA। সেই নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মচারী সহ বাকি পেনশনভোগীরা। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ মোট ৮০০ জন তাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গত জানুয়ারি মাস থেকেই কেন্দ্রের হারে DA দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন : ‘এ তো সার্কাস’! I.N.D.I.A জোটকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ অভ্র সেনের

hardik pandya (3)

কিন্তু সেই ঘোষণা করাই সার, তারপর থেকে নেওয়া হয়নি আর কোনো পদক্ষেপ। রাজ্যের লক্ষাধিক কর্মচারী বর্তমানে সমস্যায় পড়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় হারে ৪% DA বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু তারপর থেকে এখনো মেলেনি সেই অর্থরাশি। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন আলোচনা করছেন সেখানে রেজিস্ট্রারের সাথে। এখনো অবধি জানা যায়নি কবে থেকে বর্ধিত হারে DA পাওয়া যাবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর