মাউন্ট এভারেস্ট (mount Everest) , বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী এডমুন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগের প্রথম পদক্ষেপের আগে থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ এই শৃঙ্গকে জয় করার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেও অনেকেই ফিরে আসতে পারেন নি।
নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসকে মেনে নিয়ে তারা চিরনিদ্রায় ডুবে গিয়েছেন এই পর্বতশৃঙ্গের কোলে। বেশ কিছু লাশ নামানো সম্ভব হলেও অতখানি উচ্চতা থেকে নামানো সম্ভব হয় নি অনেকেরই নশ্বর দেহ৷ সীমাহীন বরফের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে তা। এবার হঠাৎ করেই হিমালয়ের বরফ গলতে শুরু করে সেই লাশ বেরিয়ে পড়তে শুরু করেছে।
তুষারের তলায় শায়িত থাকার কারনে এই সব লাশ গুলির কোনো ক্ষতি হয় না। ফলে বরফ গলে বেরিয়ে আসলেও তাদের দেহ প্রায় অবিকৃত। ২০০৮ সালের পর থেকে এতো লাশ কখনো একসাথে বেরিয়ে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে না।
এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের পথে সব থেকে মারাত্মক জায়গা হল খুম্বু আইসফল। এই অঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন সবচেয়ে বেশি অভিযাত্রী৷ এই খুম্বু থেকেই একের পর এক লাশ বেরিয়ে আসছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, দুর্গম স্থান থেকে এই সব লাশ নামানো যেমন কষ্টসাধ্য তেমনই ব্যায়বহুল।
কিন্তু কেন বেরিয়ে পড়ছে একের পর এক লাশ। বিজ্ঞানীরা এর জন্য দাবি করছেন বিশ্ব উষ্ণায়নকেই। তাদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন এর প্রভাবে শুধু মেরু অঞ্চলের বরফই গলছে না। প্রবল গতিতে গলছে হিমালয়ও। যার ফলে পৃথিবীর জলস্তর আরো বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।