বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন প্রতিদিন আতঙ্ক বাড়াচ্ছে কোভিড, বাঁচার একমাত্র উপায় যে ভ্যাকসিন, তা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত যা টিকাকরণ হয়েছে তাতে বাকি রয়ে গেছেন প্রায় একশো কোটিরও বেশি মানুষ। ভ্যাকসিন কবে পাবেন সমস্ত দেশবাসী তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছিলেন মাসে প্রায় ৬-৭ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে এই মুহূর্তে। এভাবে চলতে থাকলে সমস্ত ভারতবাসীর ভ্যাকসিন দিতে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে। তাই ভ্যাকসিনের ফর্মুলা অন্যদের দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই কথায় কোনো কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র সরকার।
কিছুদিন আগে দিল্লিতে “আমাদের শিশুদের ভ্যাকসিন কেন অন্যদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে” এই মর্মে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টারও লাগানো হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশকে এর আগেই ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত বর্ষ। কিন্তু নিজের দেশেই রয়ে গেছে অনেক অনেক খামতি। এ নিয়ে গত দিনের ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘কোভিডের প্রথম ঢেউ কেউ আঁচ করতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীই দায়ী। তাঁর নাটকবাজি এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাই এর জন্য দায়ী।’’ তিনি আরো যোগ করেন দেশের মাত্র ৩% মানুষ এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন পেয়েছে। বাকিরা এখনো সংক্রমনের মুখে। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি।
এর উত্তরে এদিন মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকার। তার বক্তব্য, ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০০ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করবে ভারত। আর তাই ২১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত ভারতীয়কে ভ্যাকসিনেট করা হবে। সাথে সাথেই রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “টিকা করনের পদ্ধতি নিয়ে রাহুলজি যদি এতটাই চিন্তিত, তাহলে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য গুলোতে কিভাবে টিকাকরণ হচ্ছে সেটা দেখুন। সেদিকে মন দিন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল জুলাই আগস্টের মধ্যে আরও সাত-আট রকম ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে ভারতে। আর তাই ডিসেম্বরের মধ্যে সকলকে ভ্যাকসিনেট করতে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে তাই নিয়ে। এমনিতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত মানুষ, মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে পর্যন্ত সকলে ভ্যাকসিন পাবেন তো? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।