বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উচ্চশিক্ষায় পাড়ি দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল মাধ্যমিক পরীক্ষা (madhyamik),পশ্চিমবঙ্গে ( west bengal) এই মাধ্যমিক পরীক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, প্রথম দিনেই বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। এই নিয়ে শিক্ষা পর্ষদকে (WBCSE) নানান প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধি ছাত্রছাত্রীদেরও প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেখা যায়।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে অদম্য মনের জোরকে কাজে লাগিয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজির সৃষ্টি করল ডিহিকলস হাই স্কুলের বাপি। বাপির জন্মের পর থেকেই তাঁর শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রায় আচল। স্বাভাবিক ভাবে সে হাঁটাচলাও করতে পারে না। সামান্যতম হাতের জোরে মায়ের কোলে করে সে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে। মগরাহাটের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউশনে তাঁর সিট পড়েছে।
নিয়ম মাফিক অতিরিক্ত ৪৫ মিনিটও দেওয়া হয় বাপিকে। ঠিকমতো বেঞ্চে বসতে পারে না বাপি। তাই তাকে কোনরকমে বেঞ্চে শুইয়ে দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা শেষে বাপি জানায় পরীক্ষা ভালোই হয়েছে তাঁর। অদম্য মনের জোর থাকলে কোন কাজকেই আর কঠিন মনে হয় না। মনের জোরই আসল, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল বাপি।
বাপির বাবা দর্জির কাজ করে। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের সংস্থান করতে গিয়েই তদের নাভিশ্বাস উঠে যায়। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁর ছেলের ঠিকমতো চিকিৎসাও সে করে উঠতে পারে না। তবে বাপি কিন্ত পিছিয়ে না গিয়ে, তার এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে জয় করেই তাঁর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।