বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য সরকারি চাকরি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো EWS সার্টিফিকেট (EWS Certificate)। ২০২৩ সাল থেকে রাজ্যে এই সার্টিফিকেটের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ায় বহু যোগ্য আবেদনকারী এখন ঘরে বসেই সহজে আবেদন করতে পারছেন। আয়, জমি কিংবা আবাসিক সম্পত্তি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলেই মিলবে এই সুযোগ। কীভাবে আবেদন করবেন, কী কী নথি লাগবে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেওয়া হল।
কারা সার্টিফিকেটের (EWS Certificate) জন্য আবেদন করতে পারবেন?
EWS সংরক্ষণের (EWS Certificate) সুবিধা পেতে আবেদনকারীকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। আবেদনকারীকে অবশ্যই জেনারেল ক্যাটাগরির হতে হবে। পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম হওয়া বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে পরিবারের মালিকানাধীন কৃষি জমি ৫ একরের বেশি হলে আবেদন করা যাবে না।
এছাড়াও আবেদনের জন্য বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল –
- ১০০০ বর্গফুট বা তার বেশি আয়তনের আবাসিক ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকলে আবেদন অযোগ্য।
- পৌরসভা এলাকায় ১০০ বর্গগজ বা তার বেশি আয়তনের প্লট থাকলে আবেদন করা যাবে না।
- নন-মিউনিসিপাল এলাকায় ২০০ বর্গগজ বা তার বেশি আয়তনের প্লট থাকলেও আবেদন করা যাবে না।
কীভাবে করবেন অনলাইন আবেদন?
প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাস্ট সার্টিফিকেট পোর্টালে যেতে হবে। Google-এ Cast Certificate West Bengal লিখে সার্চ করলে প্রথম লিঙ্কেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে। হোমপেজে Apply for EWS-এ ক্লিক করলেই শুরু হবে আবেদনপ্রক্রিয়া।
এরপর ফর্মে স্টেট বা সেন্ট্রাল, কোন ফরম্যাটের সার্টিফিকেট চান, তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর জেলা, মহকুমা, ব্লক বা পৌরসভা বেছে নিয়ে ব্যক্তিগত বিবরণ, অর্থাৎ নাম, বাবার নাম, ফোন নম্বর, ইমেল, আধার/খাদ্যসাথী নম্বর, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, সব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
ঠিকানার তথ্য পূরণ করতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে ‘Yes’ অপশনে ক্লিক করলেই হবে।
তারপর ধর্ম, লিঙ্গ এবং এলাকার দু’জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির রেফারেন্স দিতে হবে।
একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করতে হবে (১০০ KB-এর মধ্যে)। এরপর নিজের ও পরিবারের আয়ের উৎস, চাকরি, কৃষি, ব্যবসা, যা কিছু আছে তার সঠিক বিবরণ, এবং পরিবারের মালিকানাধীন জমি, ফ্ল্যাট বা প্লটের তথ্য দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি যেগুলি আপলোড করতে হবে বা সঙ্গে নিতে হবে
আবেদনপত্রের সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে—
- আধার কার্ড বা রেশন কার্ড
- আবেদনকারী ও বাবা-মায়ের ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড
- জন্মের প্রমাণপত্র (বার্থ সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক অ্যাডমিট)
- স্থানীয় BDO-র দেওয়া ইনকাম সার্টিফিকেট
- বাসস্থানের প্রমাণপত্র (Domicile)
- জমির পর্চা বা দলিল (যদি থাকে)
- পঞ্চায়েত প্রধান/চেয়ারম্যানের দেওয়া কাস্ট সংক্রান্ত প্রমাণ
- সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম (Annexure B)
সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর যে নথিগুলি জমা দেবেন তার পাশের বক্সে টিক দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করলেই আবেদন সম্পন্ন হবে। সফল সাবমিশনের পর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এবং ইনকাম ও অ্যাসেট ফর্ম ডাউনলোড করার অপশন পাওয়া যাবে। এগুলি প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট নথিগুলির জেরক্স কপিসহ ব্লক অফিস কিংবা মহকুমা শাসকের দফতরে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম নির্দেশ অমান্য করে নয়া ইন্টারভিউ তালিকায় ফের ‘দাগি’ প্রার্থী! অভিযোগে ফের মামলা হাইকোর্টে
রাজ্য সরকারের এই ডিজিটাল প্রক্রিয়া সাধারণ শ্রেণীর বহু আবেদনকারীকে সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার দিকটি আরও সহজ ও দ্রুত করেছে। এখন এক ক্লিকেই শুরু করা যায় EWS সার্টিফিকেটের (EWS Certificate) আবেদন।












