বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক অতীতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ধারাবাহিকতার একটু অভাব দেখা গেলেও তিনি বেশকিছু মনোরঞ্জনকারী ইনিংস খেলেছেন। এশিয়া কাপ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের চার নম্বর জায়গাটা তার জন্য একরকম বরাদ্দ হয়েই আছে ধরে নেওয়া যায়।
সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিংয়ে যেটা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে সেটা হল তার শটের রেঞ্জ। একটি নির্দিষ্ট ধরণের ডেলিভারির জন্য তার হাতে দু তিন রকমের ভিন্ন ভিন্ন শট রয়েছে। যে ডেলিভারিটিকে তিনি সহজেই হুক করে ফাইন লেগের মাথার ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠাতে পারেন, ঠিক সেই জাতীয় ডেলিভারি কেইস তিনি আপার কাটে শর্ট থার্ড ম্যানের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারির দিশা দেখাতে পারেন।
সূর্যকুমার যাদবের এই গুনের জন্য তাকে অনেকে ভারতের ৩৬০° প্লেয়ার বলে থাকেন। এর আগে এই নামে বিশ্ব ক্রিকেটে রাজ করে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি এবি ডিভিলিয়ার্স। তারও এমন ক্ষমতা ছিল যে লোকে তার ব্যাটিং দেখতে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে যেত। যে ডেলিভারিটিকে তিনি মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠাতে পারতেন, ঠিক ঐ জাতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই তিনি অফস্টাম্পের বাইরে হালকা সাফল্ করে বলটিকে স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারির দিশা দেখানোর ক্ষমতা রাখতেন। তাই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং, সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ‘এবি’র এই তুলনায় কিছুটা সায় দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী যে সূর্যকুমার যাদবকে তিনি শুধুমাত্র বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নন, ভারতীয় দলের মূল একাদশেও দেখতে পাবেন।
রিকি পন্টিং সূর্যকুমার যাদবকে খুব অল্প বয়স থেকেই দেখেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দলে যুক্ত থাকার সময়। তিনি ভারতীয় তারকা’র সাহসের প্রশংসা করে বলেছেন যে সূর্যকুমার কখনোই কোন শট খেলতে গিয়ে মনে দ্বিধাবোধ রাখেনা যা একটা খুব ভালো এবং শক্ত মানসিকতার পরিচয়। রিকি পন্টিংয়ের ধারণা ইতিমধ্যেই সূর্য কুমার যাদব ভারতের হয়ে নিজেকে একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করে ফেলেছেন। তবে ওপেনার সূর্যকুমার যাদব নন, এবি ডিভিলিয়ার্সের মতোই ভারতীয় তারকাকে মিডল অর্ডারে (৪ নম্বরে) ব্যাটিং করতে দেখতেই পছন্দ করবেন বলে জানিয়েছেন পন্টিং। ইতিমধ্যেই সূর্যকুমার যাদব মাত্র ২৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৭৫-এর উপরের স্ট্রাইক-রেট সহ ৬৭২ রান করে ফেলেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রমতালিকায় তিনি এখন বাবর আজমের পেছনে দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার। এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে পারলে তিনি বাবর আজমকে টপকেও যেতে পারেন।