বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরেই এই মুহূর্তে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচনের মুখেই এবার কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বামফ্রন্ট জামানার এক মন্ত্রী যোগ দিলেন জোড়া ফুল তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamul Congress)। সিপিএম-এ থাকাকালীন এই আব্দুস সাত্তার ছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamul Congress) বাম জামানার মন্ত্রী
আর তৃণমূলে (Trinamul Congress) যোগ দেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর সংক্রান্ত মুখ্য উপদেষ্টার পদে যোগ দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamul Congress) আসার পরেই এদিন কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। দীঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে একাধিক চড়াই উত্তরাই-এর সাক্ষী থেকেছেন পোড়খাওয়া এই প্রবীণ রাজনীতিক।
২০১৮ সালে সিপিএম ছেড়ে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্রের হাত ধরেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাদুড়িয়া থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়ালেও জিততে পারেননি তিনি। মঙ্গলবারই রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে এই আব্দুস সাত্তারকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত আসন্ন উপ নির্বাচনে উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার কেন্দ্রে গত ২৫ অক্টোবর তাঁকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু তিনি সরাসরি সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ‘বর্তমানে আমি স্বপরিবারে কলকাতার বাইরে রয়েছি। ১ নভেম্বর কলকাতায় ফিরব। ৫ নভেম্বর থেকে আবার নিয়মিত কাজে যোগ দিয়ে কলেজের পঠন-পাঠনে যুক্ত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন : একলাফে ২০০০! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কবে থেকে বাড়ছে টাকা? হয়ে গেল বড় ঘোষণা, শোরগোল
সেইসাথে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। একজন পর্যবেক্ষকের সময় পরিকল্পনা খরচ এবং খরচ করার সামর্থ্য থাকতে হয়, যা আমার নেই। তাই অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেই না এই দায়িত্ব দেওয়া হোক। তাই বোঝাই যাচ্ছে আগে থেকেই বোধ হয় দল ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সম্ভবত এই কারণেই সরাসরি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে সাত্তারের পদত্যাগ নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্রের শুভঙ্কর সরকার লিখিত বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে উনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন বোধ হয়। তাই ন্যায় নীতিহীন, সুবিধাবাদী এই আত্মসমর্পণ। কংগ্রেস করতে অনেক শক্ত মেরুদণ্ড আর ত্যাগ-তিতিক্ষা লাগে, যেটা আমাদের হাজার হাজার কর্মী অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে প্রমাণ করেছেন। আমাদের দলে এ সবের কোনও প্রভাব পড়বে না।’