বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হলো। নিজেদের আইএসএল (ISL) জয়ী অধিনায়ক তথা তারকা বঙ্গ ডিফেন্ডার প্রীতম কোটালের (Pritam Kotal) সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দিলো মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। এক সপ্তাহ পরেই নিজের নতুন ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সে (Kerala Blasters) যোগ দেওয়ার জন্য কোচির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তারকা ভারতীয় ডিফেন্ডার।
তিন বছরের চুক্তিতে কেরালায় গিয়েছেন প্রীতম। তবে এই সংবাদ কিছুটা মনে দুঃখ দিলেও আর একটি বিষয় মনে নতুন করে আনন্দ এনে দিচ্ছে সবুজ মেরুণ সমর্থকদের। প্রীতম কোটাল কেরালায় যাওয়ার পরিবর্তে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মোহনবাগান শিবিরে যোগ দিলেন দেশের তারকা মিডফিল্ডার সাহাল আব্দুল সামাদ। তার জন্য আলাদা করে আরও ৯০ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টকে। তারকাখচিত সুপার জায়ান্টস স্কোয়াডে আরও এক বড় তারকার সংযোজন আলাদা মাত্রা দিলো হুয়ান ফেরান্দোর দলকে।
নতুন এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত সাহালও। কলকাতার দর্শকদের সামনে নিয়মিত খেলার জন্য এখন থেকেই অনেক উৎসাহিত হয়ে রয়েছেন তিনি। তারকা ভারতীয় মিডফিল্ডার জানিয়েছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন আসন্ন মরসুমেও মোহনবাগান ফের ভারত সেরা হবে। সেই সঙ্গে তার নিজের আইএসএল ট্রফি জয় করার স্বপ্ন পূরণ হবে। দেশের নীল জার্সির মতই মোহনবাগানের সবুজ মেরুণ জার্সিতেও নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন সাহাল।
নিজের বিদায়ের দিন সবুজ মেরুন সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি আবেগপূর্ণ বার্তা পোস্ট করেছেন প্রীতম কোটাল। তার পক্ষে সবুজ মিলন শিবির ছেড়ে অন্য কোন ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা একেবারেই সহজ ছিল না। তিনি নিজের বার্তায় বলেছেন, “কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালোবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসাথে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে।”
এরপর তিনি আরও বলেছেন, “তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহনবাগানের হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায়, কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরান ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোনও একদিনে। জয় মোহনবাগান।”