‘আল্লাহ বা নবিকে যদি…’, প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোঁড়ার ঘটনায় ‘কম কথা বলা’র পরামর্শ প্রাক্তন বিচারপতি কাটজুর

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খোদ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতো নিক্ষেপের চেষ্টা! সাম্প্রতিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ কিশোরের অভিযোগ, সনাতন ধর্মের অসম্মান করেছেন প্রধান বিচারপতি বিআর গভৈ। এবার তাঁকে আদালতে ‘কম কথা বলা’র পরামর্শ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন প্রধান বিচ বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) জুতো কাণ্ডে বিষ্ফোরক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি

এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে কাটজু লিখেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি গভৈকে জুতো নিক্ষেপের ঘটনার নিন্দা করছি। কিন্তু খাজুরাহোতে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি সংক্রান্ত একটি পিটিশনের শুনানির সময়ে একটি মন্তব্য করে তিনি নিজেই এই ঘটনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন’। একটি পিটিশনের শুনানিতে বিআর গভৈ আবেদনকারীর উদ্দেশে বলেন, আপনি বলছেন যে আপনি ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ উপাসক। আপনার দেবতাকেই কিছু করতে বলুন নামেই। প্রার্থনা করুন তাঁর কাছে।’ এরপরেই বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে গভৈ পরামর্শ দেন, ‘এই ধরণের মন্তব্যের কোনোও প্রয়োজন ছিল না। এগুলো অনুপযুক্ত, অপ্রয়োজনীয়। মামলার আইনি বিষয়ের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিলনা’।

Ex supreme court justice on shoe throwing incident at cji

কী বলেছেন কাটজু: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কাটজুর বক্তব্য, আদালতে (Supreme Court) বিচারপতিদের কম কথা বলা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘মসজিদ ভাঙার বিষয়ে শুনানির সময় কোনও বিচারক যদি বলেন, আল্লাহ বা নবি মহম্মদকে এটা ঠিক করতে বলুন, তাহলে কী হবে?’

আরও পড়ুন : প্রথমবার বেঙ্গল টপার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, এদিকে হাসপাতালে শুয়ে ‘অপর্ণা’! কী হল দিতিপ্রিয়ার?

আদালত কক্ষেই ছোঁড়া হয় জুতো: প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আদালত কক্ষেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বিআর গভৈকে জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেন এক আইনজীবী। পরে তাঁকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘সনাতনের অপমান সহ্য করব না’।

আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্মের অসম্মানের অভিযোগ, হিজাব পরায় বয়কটের ডাক দীপিকাকে

ওই জুতো অবশ্য প্রধান বিচারপতির গায়ে লাগেনি। এই ঘটনায় তিনি আদালতের কাউকে বিভ্রান্ত হতে বারণ করেন। তিনি নিজেও এতে প্রভাবিত হননি। এই ঘটনায় পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কথা বলেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে।