বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও আতঙ্কিত বহু মানুষ। দুর্ঘটনার সেই ভয়ার্ত চিত্র যেন তাঁদের চোখের সামনে ভাসছে। কিন্তু বিকানের এক্সপ্রেসের (Bikaner Express) এই দুর্ঘটনায় ঠিক কতজন আহত হয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দুর্ঘটনার পর শুক্রবার সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে গিয়ে ট্রলিতে চেপে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। আহতদের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এরপর রেলের পক্ষ থেকেও ৩৬ জন আহত যাত্রীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর জানান, এই দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪২ জন। যার মধ্যে ৩৬ জনের চিকিৎসা জলপাইগুড়ি জেলায় হচ্ছে এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ জন। আবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বিকেলে আহত ৪৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে আহতদের সংখ্যা নিয়ে যে পার্থক্য দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি সঠিক আহত এবং মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি বলেই খবর।
অন্যদিকে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মধ্যে ঘটনাস্থলে থেকে দফায় দফায় তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বিকানের এক্সপ্রেসের লোকো পাইল প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, ‘দোমোহনি ষ্টেশন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিডে তখন ট্রেনটি চলছিল। অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব করায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্রেক কষতে গিয়ে দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে। কিন্তু কিভাবে সবটা হল কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। মনে হচ্ছে রেল ট্র্যাকে কিছু সমস্যা ছিল’।