বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২১ সালে আফাগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবান (Taliban) ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকেই একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছে কাবুল (Kabul)। এবার আবারও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল আফগানিস্তানে। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কাবুলের বসতি অঞ্চলে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন ৮ জন। জখম হয়েছেন ১৮ জন। ইসলামিক স্টেট (IS) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
শুক্রবার মসজিদে তখন নমাজ় পড়া হচ্ছিল। সেই সময়ই একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে নিশানা করে এই হামলা করা হয়। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় আইএস-র মূল লক্ষ্য ছিল হাজারস গোষ্ঠী। মূলত এই গোষ্ঠীর মহিলা ও শিশুদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল পশ্চিম কাবুলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। শুক্রবারের নমাজ়ের সময় মসজিদে হাজির হয় হাজারস গোষ্ঠীর মহিলা ও শিশুরা। সেই সময় সর-ই-কারিজ় এলাকায় একটি মহিলাদের মসজিদে ঘটে এই বিস্ফোরণ। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। তাদের দাবি ৮ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে এই হামলায়। পশ্চিম কাবুলে এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও আহত হয়েছে বলে দাবি আইএস-এর।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানান, একটি জনবহুল এলাকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক মাধ্যমেও ঘটনাস্থলের বেশি কিছু ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আহতদের উদ্ধার করতে লোকজন এদিকে সেদিকে ছোটাছুটি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালিবানের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, একটি সবজির ভ্যানে বিস্ফোরক রাখা ছিল। বিস্ফোরণে নারী, শিশুসহ ৫০ জনের বেশি হতাহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ আহতদের মধ্যে বেশির ভাগের অবস্থাই সংকটজনক।
আফগানিস্তানে ২০১৪ সাল থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আইএস। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আইএসকেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই কট্টরপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠী আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব হামলা হয়েছে সেগুলোর দায় স্বীকার করেছে। এসব হামলার বেশিরভাগই সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হয়। হাজারাস গোষ্ঠী হলো আফগানিস্তানের অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তালিবান ২.০ শুরু হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা হয়েছে। অধিকাংশ হামলায় মূল টার্গেট ছিল সেখানকার বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।