বাংলাহান্ট ডেস্ক : পণ চেয়ে চলে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, মেয়ে আগলে লড়াই শুরু করেছিলেন বিবাহবিচ্ছেদের জন্য! সেই শিবাঙ্গী এ বার হলেন আইএএস অফিসার। উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ের বাসিন্দা শিবাঙ্গী গয়াল। তাঁর সাত বছরের একটি মেয়েও আছে।
জানা গিয়েছে যে, স্কুলে পড়াকালীনই আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন শিবাঙ্গী। কোনও কিছুই টালাতে পারেনি শিবাঙ্গী গয়ালের লক্ষ্যকে। নিজের লক্ষ্যে অটল থেকেই আজ তিনি দেশের এক জন আমলা। এ বারের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর র্যাঙ্ক ১৭৭।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ে পিলখুয়ার বাসিন্দা শিবাঙ্গীর জীবনে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিয়ের পরেই। যদিও তার আগে স্কুল জীবন থেকেই আমলা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কলেজে পড়াকালীন পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এরপরেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পরেই অন্ধকার নামে শিবাঙ্গীর জীবনে। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। এর মধ্যেই কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। দিনের পর দিন নির্যাতন চলায় কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবাঙ্গী। মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন।
শিবাঙ্গী বলেছেন তিনি বিয়ের আগে থেকেই UPSC পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হতে চেয়েছিলেন। তিনি দুবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু দুইবারই ব্যর্থ হন। তারপর তার বিয়ে হয়। কিন্তু সুখকর হয়নি সাংসারিক জীবন। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। তারপরেই শুরু হয় এক মায়ের সন্তানকে বড় করে তোলার লড়াই।
পুরানো দিনের কথা স্মরন করার সঙ্গে সঙ্গেই নিপীড়িত মেয়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন নয়া আইএএস অফিসার শিবাঙ্গী। বলেছেন, “আমি সমাজের সেই বিবাহিত মহিলাদের একটি বার্তা দিতে চাই যে তাঁদের শ্বশুরবাড়িতে যদি তাদের সাথে কিছু হয় তবে তাদের ভয় পাওয়া উচিত নয়। তাঁদের দেখান যে আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। মহিলারা যে কোনও কিছু করতে পারে। আপনি যদি ভালভাবে পড়াশোনা করেন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন তবে আপনিও একজন আইএএস হতে পারেন।”