”যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবাও প্রয়াত!” খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুখ খুলল শোকার্ত পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুরে (Jadavpur) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে প্রতিদিন। এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখে অনেকেই চমকে গেছে। ঘটনার বদলে এটিকে রটনা বলাই শ্রেয়। বৃহস্পতিবার সকালে রটে যায় যাদবপুর কান্ডে মৃত ছাত্রের বাবা নাকি মারা গেছেন!

অন্যদিকে যাদবপুর কাণ্ডে পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক প্রাক্তন ছাত্র ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। এরপর সমাজের অনেক অংশ প্রশ্ন তুলতে থাকে তাহলে কি যাদবপুর কাণ্ডে মৃত ছাত্রের পরিবার সুবিচার পাবেন? চাপানউতোরের মধ্যেই মৃত ছাত্রের পরিবার কিন্তু দিক শূন্য হয়ে পড়েছে।

আরোও পড়ুন : হু হু করে নামতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম! রান্নার গ্যাসের পর আশার আলো মন্ত্রীর কথায়

পরিবারের সন্তানকে হারিয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত তারা। এই আবহে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুজব রটে যাদবপুর কাণ্ডে মৃত ছাত্রের বাবা প্রয়াত হয়েছেন। পরবর্তীকালে দেখা যায় এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। এমন কিছুই ঘটেনি। তবে মৃত ছাত্রের পরিবার অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েছে এই সব কিছু নিয়ে। মৃত ছাত্রের মা ও ছোট ভাই বিধ্বস্ত গোটা ঘটনায়।

একটি সংবাদমাধ্যমকে মৃত ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন, “কান্নাকাটি পড়ে গিয়েছে সকাল থেকে। আমি মারা গিয়েছি এই রটনা কেন চাওর করা হল বুঝতে পারছি না। আমাকে ক্রমাগত ফোন করে চলেছেন ভাগ্না, ভাগ্নি, বন্ধু বান্ধব, মাস্টারমশাইরা। এমন পরিস্থিতি নেই পুলিশের কাছে যাব।”

আরোও পড়ুন : ২ লাইনের রায়েই সুশান্তকে মৃত্যুদণ্ডের দণ্ডিত করল বিচারক! ফাঁসি হবে শুনেই সুতপার প্রেমিকের যা হল….

সন্তান হারানোর যন্ত্রণাকে বুকে চেপে তিনি আরোও জানান, “আমার আস্থা রয়েছে বিচার ব্যবস্থার উপর। আমার সন্তানের মৃত্যুর পিছনে যারা দায়ী আমি চাই তারা শাস্তি পাক। কিন্তু এভাবে যদি মিথ্যা খবর রটানো হয় তাহলে আমাদের পরিবারের কী অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন? একেই তো সন্তান হারানোর বেদনা, তার উপর এইসব…।”

Father,Fact Check,Jadavpur University,Bangla,Bengali,Bengali News,Bangla Khobor,Bengali Khobor

পরিবারের সন্তানকে হারিয়ে এখন রীতিমতো বিধ্বস্ত প্রত্যেকে। তার মধ্যে আজ সকাল থেকে গুজব রটে যে যাদবপুর কান্ডে মৃত ছাত্রের বাবা প্রয়াত হয়েছেন। এরপর ক্রমাগত ফোন আসতে থাকে মৃত ছাত্রের পরিবারের কাছে। কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায় আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। এমনকি বহু মানুষ গিয়ে পৌঁছান তার বাড়িতে সমবেদনা জানানোর জন্য।