হয়ে যান সতর্ক! আধার কার্ড সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি না মানলেই পড়বেন বিপদে, হতে পারে জেলও

Published on:

Published on:

Failure to follow these rules regarding Aadhaar card can lead to jail.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে আধার কার্ড (Aadhaar Card) প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে শুরু করে মোবাইল সিম কেনা, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া, অথবা স্কুল-কলেজে ভর্তি হওয়াই হোক, সর্বত্রই আধার কার্ড প্রয়োজন। তাই, প্রতিটি ভারতীয়ের আধার কার্ড থাকা আবশ্যক। জানিয়ে রাখি যে, আধার কার্ড Unique Identification Authority of India তথা UIDAI দ্বারা জারি করা হয়। এদিকে, UIDAI কিছু নিয়ম লাগু করেছে যা সকলকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আধার কার্ডের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি না মানলে জরিমানা এমনকি কারাদণ্ড পর্যন্ত পারে। তাই, এই নিয়মগুলি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।

আধার কার্ডের (Aadhaar Card) ক্ষেত্রে মাথায় রাখুন এই নিয়মগুলি:

১. আধারের জন্য আবেদন করার সময় ভুয়ো তথ্য প্রদান করবেন না: আধার (Aadhaar Card) তৈরির সময়ে UIDAI-কে সঠিক তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা ভুয়ো তথ্য দিলে সেটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অপরাধের ফলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অতএব, আধার তৈরি করার সময়ে, সম্পূর্ণ সঠিক নথি এবং তথ্য প্রদান করুন।

Failure to follow these rules regarding Aadhaar card can lead to jail.

২. অন্য কারোর আধার পরিবর্তন করাও অপরাধ: অন্য কারোর আধার কার্ডের (Aadhaar Card) তথ্য পরিবর্তন করা বা তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করাও বেআইনি। এর ফলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অতএব, কারোর অনুমতি ছাড়া তাঁর আধারে কোনও পরিবর্তন করবেন না। অন্যথায় এটি আপনার জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে দেশজুড়ে শুরু GST সাশ্রয় উৎসব! জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ফের আত্মনির্ভরতার আহ্বান মোদীর

৩. তথ্য ফাঁস ব্যয়বহুল: কখনও কখনও দেখা যায় অনেকেই UIDAI-এর অনুমোদন ছাড়াই আধার-সম্পর্কিত এজেন্সি খুলে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। যেটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এর ফলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০,০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত কোম্পানির ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তাছাড়া, অজানা ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা বা তথ্য সরবরাহ করাও একটি অপরাধ। যার শাস্তি কারাদণ্ড এবং জরিমানা।

আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ায় মেলেনি চান্স! এই “অখ্যাত” খেলোয়াড় হচ্ছেন BCCI সভাপতি, চেনেন মিঠুন মানহাসকে?

৪. আধার কেন্দ্রে চুরি: যদি কেউ আধার কেন্দ্র হ্যাক করে বা তথ্য চুরির চেষ্টা করে, তাহলে সেটিও একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর জন্য ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০,০০০ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে।