বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পূর্বে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল হেভিওয়েট নেতৃত্বরা। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি হাতে নিয়ে দল ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee)। পদ্ম শিবিরে আশ্রয় নিয়ে নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড় থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
কিন্তু ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার স্বপ্ন ৭৭-ই আটকে যায় বিজেপির। সেইসঙ্গে ডোমজুড় থেকেও বিরোধী কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বির সামনে ধরাশায়ী হয়ে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই দলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই হঠাৎ স্যোশাল মিডিয়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পোস্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। পোস্টে স্পষ্টতই তিনি বুঝিয়ে দেন, বারংবার তৃণমূলকে আক্রমণ করাটা ভালোভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে যখন জলঘোলা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Fairhad Hakim)। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ছোটো ভাই’ বলে সম্বোধন করে বললেন, ‘ভালো লক্ষণ, ওঁর বোধদয় হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘অনেকের তো দেরীতে হলেও বোধদয় হয় না। তবে ওর দেরীতে হলেও বোধদয় হয়েছে, সেটা খুবই ভালো লক্ষণ। একাধিক দলত্যাগীরা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিলেও, রাজীবের পক্ষ থেকে কোন চিঠি আসেনি এখনও’।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওয়ার্কিং কমিটি ঠিক করবে দলে কাকে ফেরানো হবে। এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে রাজীব আমার ছোট ভাইয়ের মত। শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঁ না থাকায়, ওঁকে ফোন করেছিলাম। তবে ওঁ কেন বিজেপিতে গেছিল, তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমি সত্যিই অবাক এই ঘটনায়’।