বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত! সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করেই ইস্যু হয়েছে হাজারে হাজারে ভুয়ো জন্ম এবং মৃত্যু শংসাপত্র। একটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই মিলেছে প্রায় ৪ হাজারের বেশি ভুয়ো নথিপত্র! পাঠানখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি থানা এলাকা থেকে এমন অগুন্তি ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে বলে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য সরকার।
ভুয়ো জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট নিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) রিপোর্ট পেশ রাজ্যের
এক ব্যক্তির মৃত্যু শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলা চলাকালীনই উঠে আসে এমন বিষ্ফোরক তথ্য। নিত্যরঞ্জন ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি গোসাবা থানার পাঠানখালী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আদালতে (Calcutta High Court) ওই মামলার শুনানিতেই এই রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সরকার। মামলায় রাজ্যের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, পাঠানখালী গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে হাজারে হাজারে ভুয়ো সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে।
সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করেই সার্টিফিকেট ইস্যু: সরকারি সূত্রে খবর, একটি থানা এলাকাতেই ৩ হাজার ৫৫৮ টি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র এবং ৫১০ টি ভুয়ো মৃত্যু শংসাপত্রের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, সরকারি জন্ম জন্ম মৃত্যু পোর্টালের মাধ্যমেই এভাবে অগুন্তি ভুয়ো সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে বলে খবর। এর নেপথ্যে বড় চক্রের আশঙ্কা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ৬ বছর সিঙ্গেল থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংস, দেবমাল্যর গলাতেই মালা দিতে চলেছেন মধুমিতা!
কী জানাল পুলিশ: আদালতে (Calcutta High Court) এদিন পুলিশ জানায়, কিছু কিছু ভুয়ো সার্টিফিকেটে বাবা মায়ের নামের জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকের নাম। তদন্তে উঠে এসেছে, পাঠানখালী পঞ্চায়েতের চুক্তি ভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারের নাম।
আরও পড়ুন : শিল্পে আসবে গতি, রাজ্যে বন্দে ভারতের কোচ নির্মাণে বড় পদক্ষেপ, ১২৬ কোটির জমি লিজে দিচ্ছে সরকার
জানা যাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সার্টিফিকেট ইস্যু করার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরে। তখনই সে সরাসরি এর সঙ্গে জড়ায় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করচে, এই সমস্ত ভুয়ো সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রমাণ, মানব পাচারের মতো বড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গৌতম সর্দার সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে চার্জশিট।