বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার ঠাকুরনগরের (Thakurnagar) মতুয়া তীর্থ ঠাকুরবাড়ির (Matua Tirtha Thakurbari) বড়মা বীণাপাণি দেবীর কাছ থেকে একসময় আশির্বাদ নিয়ে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই মতুয়া তীর্থ ঠাকুরবাড়ির মাটি এবং জল রাম মন্দিরের ভূমি পূজায় ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা, বর্তমানে তা নিয়েই জল্পনা উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
রাম মন্দিরের ভূমি পূজন
গত ৫ ই আগস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পূজনে দেশের বিভিন্ন তীর্থ ক্ষেত্রের মাটি এবং জল ব্যবহার করা হয়েছিল। সেইমত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, মায়াপুর সহ শ্রীধাম ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরের জল- মাটি ও পাঠানো হয়েছিল অযোধ্যায়। কিন্তু তাঁর পরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। জল- মাটি পৌঁছালেও, তা কি আদৌও ব্যবহার করা হয়েছিল ভূমি পূজনের অনুষ্ঠানে?
ব্যবহার হয়নি ঠাকুরবাড়ির মাটি-জল
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির বড় বউ তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর দাবি করেছিলেন, ‘মাটি-জল পাঠানো হলেও, তা ব্যবহার করা হয়নি। মতুয়ারা নিম্নবর্ণের বলেই তা ব্যবহার করতে অস্বীকার করা হয়’। এমনকি একটি বাংলা টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যও এই একই সুরে সুর মেলান।
গুজবে কান দেবেন না
বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাতিপতি শান্তনু ঠাকুর এই বিতর্কিত বিষয়ের ভিত্তিতে একটি ভিডিও বার্তায় নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ভক্তরা একদমই কোন গুজবে কান দেবেন না। কোন এক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে এটা চক্রান্ত করা হয়েছে’।
অপমান করা হচ্ছে মতুয়া সমাজকে
সেইসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্র সম্পাদক অমিয় সরকার জানিয়েছেন, ‘ভিএইচপির বারাসত জেলা কমিটির তরফ থেকে গত ৪ ঠা আগস্ট ঠাকুরনগরের মতুয়া তীর্থ ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ মন্দিরের জল ও মাটি অযোধ্যায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তাই নিন্দুকদের এই জল্পনা পুরোপুরি অযৌক্তিক। এই বিতর্কের দ্বারা মতুয়া সমাজকে তীব্র অপমান করা হয়েছে’।