বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের (Rajasthan) চুরু (Churu) জেলায় সরদার শহরে এক পরিবারকে অমানবিক ভাবে মারার ঘটনা সামনে এসেছে। ওই পরিবারের ভুল শুধু এটাই ছিল যে, তাঁরা দিল্লী ফেরত এক ব্যাক্তির সূচনা চিকিৎসা বিভাগকে দিয়েছিল। সূচনা পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন, পুলিশ আর স্বাস্থ বিভাগের টিম দিল্লী ফেরত ব্যাক্তির বাড়ি পৌঁছে যায়। ওই দিল্লী ফেরত ব্যাক্তিকে জয়েন্ট টিম ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়। ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষ করে বাড়ি ফেরার পর ওই ব্যাক্তি খুঁজে বের করে যে, তাঁর বিরুদ্ধে স্বাস্থ দফতরকে জানিয়ে ছিল কে?
স্বাস্থ বিভাগকে সূচনা দেওয়া ব্যাক্তির নাম, ঠিকানা জানার পর অভিযুক্ত প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনকে নিজের সাথে নিয়ে অভিযোগকারীর বাড়ি পৌঁছায় এবং অভিযোগকারী আর তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করে। অভিযুক্ত বাড়িতে ঢুকে অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে মারধর শুরু করে। অভিযোগকারী পরিবারের একজন সদস্য এই ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়। এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করে।
ভাইরাল ভিডিওতে অমানবিকতার সীমা পার করে অভিযুক্তরা মারধর করছে দেখা যায়। লাঠি, ঘুষি কোন কিছুই বাদ থাকেনা। অভিযোগকারীর দুই ছেলে নিজের বাবাকে বাঁচাতে এলে তাঁকে ধরেও মারধর করা হয়। মারপিট দেখে ভিডিও বানানো অভিযোগকারীর মেয়েও আতঙ্কে কাঁদা শুরু করে দেয়।
আরেকদিকে সরদার শহর থানায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সরদারশহরের ওয়ার্ড নং ২০ এর পরমানন্দ এবং তাঁর পরিবারকে ওই মহল্লারই বিমল কুমার, কমল কুমার, ঘনশ্যাম, রাধেশ্যাম, নিতেশ কুমাররা বেধড়ক মারধর করে।