বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। গত শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার মথুরাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মনিরুদ্দিন খান (Maniruddin Khan) নামে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ঐ যুবক। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে পেনড্রাইভের পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলে। তবে বর্তমানে মনিরুদ্দিনের পাশে দাঁড়িয়েছে তার পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয় এবং স্থানীয়রা। একইসঙ্গে মনিরুদ্দিনের মত ‘সৎ’ এবং ‘মেধাবী’ ছেলে কিভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, তা ভেবে হতবাক সকলে।
মনিরুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জঙ্গি কার্যকলাপে সাহায্য করার পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে যুবকের এক আত্মীয় বলেন, “পাঁচ বার ধরে নামাজ পড়তো। ভালো ছেলে। কিন্তু হঠাৎ কি এমন হলো, কিছুই বুঝতে পারছি না। সারাদিন ধরে পড়াশোনা করতো।” মনিরুদ্দিনের এক প্রতিবেশী জানান, “ভালো এবং সৎ ছেলে ছিল। বাবাকে সাহায্য করত। কখনো কিছু খারাপ করতে দেখিনি ল। পুলিশ ওকে ধরে নিয়ে যাবে, সেটা ভেবেই হতবাক হয়ে পড়েছি।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতারের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ডায়মন্ড হারবারে দুই যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাদের মধ্যে ধৃত এক শিক্ষককে জেরা করে বর্তমানে মনিরুদ্দিন খান নামে ২০ বছর বয়সী যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মনিরুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসে পুলিশের হাতে এবং পরবর্তীতে গত শনিবার অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মথুরাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার পাশাপাশি একাধিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল মনিরুদ্দিন। এক্ষেত্রে ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি থেকে শুরু করে জঙ্গি সংগঠনে লোকেদের নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল অভিযুক্তের ওপর। শনিবার মনিরুদ্দিন খানকে গ্রেফতার করার পর গতকাল তাকে আদালতে তোলা হয়। ইতিমধ্যেই আদালত তাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরুদ্দিন খানের বড় দাদাকে আটক করে পুলিশ এবং পরবর্তীতে মনিরুদ্দিনকেও গ্রেফতার করে তারা। তবে এক্ষেত্রে পড়াশোনায় মেধাবী এবং ‘সৎ’ ছেলে কিভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হলো, তা ভেবে ইতিমধ্যেই হতবাক তার পরিবার থেকে আত্মীয় এবং স্থানীয় সকলেই।