বাংলাহান্ট ডেস্ক : “প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে…” ১৯ বছরের তরুণী কৃতিকা চেয়েছিলেন কলেজের পাঠ চুকিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে। কিন্তু, কমার্সের এই ছাত্রীর মনে ‘স্বামী’ হিসেবে যে রয়েছে সে আসলে তার নিজের খুড়তুতো ভাই। ফলে ভাইয়ের সাথে বিয়ের কথা উঠতেই বাধে গণ্ডগোল। আর তারপরেই পরিবার মান্যতা না দেওয়ায় ট্রেনের চাকার তলায় গলা দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই বছরই লাস্ট ইয়ার ছিল তাঁর কলেজে। এর মাঝেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি তাঁর নিজের কাকার ছেলেকেই বিয়ে করবেন। বিগত ৬ মাস ধরে তিনি এটাই বুঝিয়ে আসছিলেন তাঁর পরিবারকে। যদিও পরিবারের কেউই এই বিয়েতে রাজী ছিলেন না। কেউই তাঁদের এই বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে চাননি।
সূত্রের খবর, গতকাল তামিলনাড়ুর কুদ্দালোরে একটি কোচিং থেকে ক্লাস করে স্টেশন থেকে ফেরার পথে তিনি তাঁর ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলেন। যাঁরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন তাঁদের মতে, কৃতিকার ভাই তাঁর সাথে কথা বলে স্টেশন ছেড়ে চলে যান। এরপর হঠাৎ তিনি ঝাঁপ দেন একটি ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই। স্টেশনে উপস্থিত রেল পুলিশ ছুটে আসে তাঁকে উদ্ধার করতে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
এরপর পুলিশ কৃতিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে সরকারী হাসপাতালে পাঠায়। এই খবর তাঁর বাড়ির লোকের কাছে পৌঁছতেই বাড়ির লোক কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা জানান, কলেজের পড়া শেষ করেই কৃতিকা বিয়ে করতে পারবেন বলে ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি উদাস হয়ে থাকতেন। শেষমেষ কৃতিকা যে এইভাবে আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করে দেবে তা তাঁর পরিবারের লোক ভাবতেও পারছে না।