বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরের তীব্র দাবদাহে রীতিমতো হাসফাঁস অবস্থা সকলের। পাশাপাশি, বৃষ্টির অভাবের কারণে আরও ভয়ানক হয়েছে পরিস্থিতি। এমনকি দুপুরবেলায় বাড়ি থেকে বেরোনোটাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। এদিকে, প্রতিবছরই এই সময়টাতে গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে দার্জিলিং (Darjeeling), গ্যাংটকে (Gangtok) পাহাড়ের শীতল পরিবেশ উপভোগ করার জন্য সেখানে বেড়াতে যান বহু মানুষ। তবে এই বছর, গরমের দাপট দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি প্রভাব বিস্তার করেছে উত্তরবঙ্গেও।
আর সেই কারণেই পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েও কালঘাম ছুটছে পর্যটকদের। এমনকি, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে গরমের হাত থেকে স্বস্তি পেতে ভরসা রাখতে হচ্ছে সেই ফ্যানের উপরেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। তবে নজির তৈরি করেছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের তাপমাত্রা। গত বুধবার গ্যাংটকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০০০ সালের পরে এই প্রথম গ্যাংটকের তাপমাত্রা প্রায় ২৬ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের এই অসহনীয় গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেতে অনেকে উত্তরবঙ্গে ভিড় জমালেও বর্তমানে দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে যে ম্যাল কিংবা চকবাজারে উপস্থিত হয়েও সেখানে পকেট থেকে রুমাল বার করে ঘাম মুছছেন সকলে। এমনকি পর্যটকদের এহেন অবস্থা দেখে হোটেল মালিকেরা হোটেলের রুমে ফ্যান লাগাতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতে আপাতত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি রয়েছে। পাশাপাশি, এই একই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে গ্যাংটকেও। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের গ্যাংটক শাখা জানিয়েছে যে, গরমের এহেন প্রাবল্য জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেও বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় ভাবে যে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়, এবার সেটারও দেখা মিলছে না।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের মত জায়গাগুলিতে তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে ৪০ ডিগ্রির গন্ডী। যার ফলে সামগ্রিকভাবে এখন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে।