বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে (India) গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ যাত্রী ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের সুবিধার্থে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় রেলের তরফে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আগামী ১ জুলাই থেকেই কমতে চলেছে ট্রেনের ভাড়া। মূলত, ৫৬৩ টি লোকাল ট্রেনের ভাড়া এবার কমবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আপাতত ওই ট্রেনগুলির ন্যূনতম ভাড়ার পরিমাণ হল ৩০ টাকা। কিন্তু, আগামী মাসের প্রথম থেকেই অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ওই ভাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ১০ টাকা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে ওই ৫৬৩ টি ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া এবার ৩ গুণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে রেলের তরফে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর আগে একাধিক লোকাল ট্রেন চালানো হত। সেইসময়ে ন্যূনতম ভাড়ার পরিমাণ ছিল ১০ টাকা।
যদিও, করোনা মহামারীর সময়ে সেই ট্রেনগুলির পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে যখন ওই লোকাল ট্রেনগুলি চালু করা হয়, তখন সেগুলি রেলের তরফে স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই চালু করা হয়। আর ওই স্পেশাল ট্রেনের তকমা দিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাড়া। যদিও, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েকটি ট্রেনের স্পেশাল তকমা তুলে দেওয়া হলেও অধিকাংশ ট্রেনই স্পেশাল হিসেবে চালানো হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে রিনিউয়েবল এনার্জি ও বৈদ্যুতিক যানবাহনে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, হয়ে গেল ফাইনাল
তবে, এবার জুলাই মাস থেকেই স্পেশাল তকমা তুলে দেওয়া হচ্ছে ৫৬৩ টি লোকাল ট্রেনের। আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই ৫৬৩ টি লোকাল ট্রেনের ভাড়া কমে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মিডিয়া রিপোর্টে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিপোর্ট অনুযায়ী আম্বালা, দিল্লি, ফিরোজপুর, লখনউ এবং মোরাদাবাদ-এই ৫ টি ডিভিশনকে ইতিমধ্যেই উত্তর রেলওয়ের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই ৫৬৩ টি স্পেশাল লোকাল ট্রেনের নম্বর পাল্টানোর নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাববস্থায়, ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রেনগুলির নম্বরের সামনে থেকে “০” থাকবে না।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের এই ৩ বিধ্বংসী খেলোয়াড় ভারতকে দিতে পারে বড় ধাক্কা, একজনের জন্য হাতছাড়া হয়েছে ট্রফিও
পশ্চিমবঙ্গেও কি কমবে ভাড়া: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গেও করোনা মহামারীর সময়ে চালু করা হয়েছিল স্পেশাল ট্রেন। এমতাবস্থায় যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মহামারী প্রভাব কেটে যাওয়ার পরে সামগ্রিকভাবে রেলের পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে একপ্রকার বেশি ভাবে ভাড়া নিচ্ছিল রেল। অথচ, ওই ট্রেনগুলি আগে যেরকম চলত সেইভাবেই চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন যাত্রীরা।