বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের কড়া মনোভাবের জন্য বিখ্যাত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) এক মানবিক চেহারা সামনে এলো। গোরখপুরের এক অসুস্থ ছাত্রীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মধ্য রাতে নিজের কার্যালয় খুলিয়ে মানবতার এক অন্যন্য নজির গড়লেন। প্রসঙ্গত, গোরখপুরের ক্যাম্পিয়ারগঞ্জের বাসিন্দা গরীব অসহায় মধুলিকা মিশ্রা হৃৎপিণ্ডের দুটি ভালভই খারাপ। চিকিৎসার জন্য ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা যখন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানতে পারে, তখন তৎক্ষণাৎ তিনি মুখ্যমন্ত্রী বিবেকাধিন তহবিল থেকে এই খরচ বহনের স্বীকৃতি দেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে বিজেপির দুজন কর্মী ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে সেখানে সমস্ত ইস্টিমেট হাসিল করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করে নিজেই ছাত্রীর বাবাকে চিঠি লিখে জানান। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, আমি জানতে পেরেছি যে আপনার কন্যা কুমারী মধুলিকা মিশ্রার হৃৎপিণ্ডের দুটি ভালভ নষ্ট। তাঁর চিকিৎসা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অর্থাভাবে সেটা সম্ভব হয় নি। আমি আপনাকে অবগত করাতে চাই যে, আপনার কন্যা বিএড ছাত্রী কুমারী মধুলিকার মিশ্রার চিকিৎসার জন্য মেদান্তা হাসপাতালে প্রদত্ত ইস্টিমেট অনুযায়ী ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এই টাকা দিয়ে তাঁর চিকিৎসা খুব ভালো মতই হয়ে যাবে, আর সে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে নিজের পড়াশোনা জারি রাখবে।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর মধুলিকার পরিবারের খুশির হাওয়া বয়ে যায়। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তাঁরা যখন ভাবছিল যে চিকিৎসা কি করে হবে? তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এগিয়ে এসে সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরজন্য মধুলিকা এবং তাঁর পরিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। জানিয়ে দিই, মধুলিকার বাবার একজন ক্ষুদ্র কৃষক। আর তাঁর মেধাবী মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর কাছে টাকা ছিল না।
মেদান্তা হাসপাতালে মধুলিকার চিকিৎসার জন্য ৯ লক্ষ ৯০ হাজার ব্যবস্থা করার পর ২৪ আগস্ট অপারেশন করার রারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক পিতা রাকেশ চন্দ্র মিশ্রা চিকিৎসা করানোর জন্য টাকা যোগাড় করতে পারছিল না। তখন মধুলিকা মুখ্যমন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্তি জানায়। মধুলিকার মা তাঁর ছোটবেলায়ই প্রয়াত হয়েছে। তাঁর দুই ভাই বাবার সাথে কৃষি কাজ করে সংসার চালায়।