বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Fatal Accident) ঘটে বেহালায় (Behala)। বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া এক শিশু ও তাঁর বাবাকে পিষে মারে পুরসভার লরি। এই পথ দুর্ঘটনাকে (Road Accident) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। বাচ্চাটির মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদে নেমেছে স্থানীয় মানুষজন।
এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা পুরসভার মাটি বোঝাই একটি লরি সজোরে এসে ধাক্কা রাস্তায় চলতি এক বাইকে। সেই বাইকটিতে বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া সৌরনীল সরকার ও তাঁর বাবা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ওই শিশু। গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি মৃত শিশুর বাবা সরোজকুমার সরকার।
এই পথ দুর্ঘটনাকে (Road Accident) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। বাচ্চাটির মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদে নেমেছে স্থানীয় মানুষজন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব শিশুটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সকলেই। স্কুলের সামনে পথ নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয়। বারবার বললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। রাস্তার ধারে স্কুল হওয়ার পরও সকালে কোনও পুলিশকর্মী থাকেন না! এই রকমই হাজারো অভিযোগে সরব স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ওদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষজনও। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত লরিচালককে ধরা গেলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ ঘুষ নিয়ে ওই লরিচালককে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ক্ষোভে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। বাচ্চাটির মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে প্রতিবাদে নামেন স্থানীয় মানুষজন। ক্ষোভ আছড়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে।
ঘটনার জেরে এদিন সকাল থেকে কার্যত অবরুদ্ধ ডায়মন্ড হারবার রোড। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয়েছে পুলিশ বাহিনী। ময়দানে নামে ব়্যাফ। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। একের পর এক বাস ভাঙচুর। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলও।
স্কুলের সামনেই লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই শিশুর স্কুলের হেড মাস্টার। স্কুলের সামনে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোয় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই স্কুলের শিশু পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে ওই খুদেরা।