বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে (Muzaffarnagar) ইমরানা ধর্ষণ-কাণ্ডের ছায়া। সন্তানসম্ভবা গৃহবধূকে ধর্ষণ (Raped) শ্বশুরের। গোটা ঘটনা জানাজানি হতেই স্ত্রী-কে মা বলে সম্বোধন স্বামীর। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ৫ জুলাই তাঁর স্বামী তাঁর মায়ের জন্য ওষুধ আনতে যান। সেই সময় ঘর ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ওই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত শ্বশুর। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে এবং হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এরপর স্বামী বাড়ি ফিরে এলে যুবককে গোটা বিষয়টি জানান নির্যাতিতা।
কিন্তু অভিযোগ, এই ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে নিজের স্ত্রীকেই দোষারোপ করেন ওই যুবক। শরিয়ত অনুযায়ী, যেহেতু তাঁর বাবা ওই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Sexual Relation) করেছেন, তাই তিনি বলেন, ওই নির্যাতিতা এবার থেকে তাঁর স্ত্রী নন। তাঁর মা হয়ে গিয়েছেন।
ঘটনা জানাজানি হতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর প্রতি খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তাঁর স্বামী তাঁকে বেধড়ক মারধরও করেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্বশুর এবং স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা বর্তমানে ৯ মাসের গর্ভবতী।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে এমনই এক ঘটনা সামনে আসে। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের চারথাওয়াল গ্রামে শ্বশুরের হাতে নির্যাতিত হন ২৮ বছরের এক মুসলিম মহিলা। শরিয়ত অনুযায়ী, পিতা ও পুত্র দু’জনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তাই স্বামীর সঙ্গে ইমরানার (Imrana Rape Case) বিবাহ বাতিল ঘোষণা করে গ্রামের প্রবীণরা।