বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধর্ষিতা মেয়েকে দুষ্কৃতীরা কয়লার চুল্লিতে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সেই মেয়ের চিতায় ঝাঁপ দিয়ে সহ মরণের চেষ্টা করলেন বাবা। ১৪ বছরের এক নির্যাতিতা কিশোরীর অন্তোষ্টিক্রিয়ার সময় ভয়াবহ এই দৃশ্যই সামনে এল। রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়াড়াতে গত ২ আগস্ট কিছু দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে এক ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে।
অভিযোগ ধর্ষণের পর ওই দুষ্কৃতীরা কিশোরীকে জ্বালিয়ে দিয়েছে একটি কয়লার চুল্লিতে। পুলিশ এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ প্রমাণ লোপাট করার জন্যই দুষ্কৃতীরা কিশোরীকে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। ওই কিশোরীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সময় জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিতে যান তার বাবা।
যদিও তৎক্ষণাৎ থাকে সবাই ধরে ফেলে। এই ঘটনায় গুরুতর অভাবে আহত হয়েছেন তিনি। উদ্ধারের পর নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। জানা গেছে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, তার বোন বুধবার সকাল আটটা নাগাদ ছাগল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
এরপর দুপুর তিনটার দিকে ছাগলগুলো বাড়ি ফিরে আসলেও তার বোন ফেরেননি। গ্রামে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান মেলেনি তার। এরপর গ্রামবাসীরা গ্রামের বাইরে রাত আটটা নাগাদ একটি ক্যাম্পে চুল্লি জ্বলতে দেখতে পান। বর্ষাকালে চুল্লি সাধারণত জ্বলে না।
চুল্লির আগুন দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা তৎক্ষণা ওই জায়গায় যান। সেখানে গিয়ে চুল্লির ভিতর দেখতে পান তার বোনের হাতের ব্রেসলেট ও আগুনে পোড়া কিছু হাড়। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনকে গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা সত্যতা স্বীকার করে নেয়। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে গ্রেফতার করে দুষ্কৃতীদের।