বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অতীতে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অন্যতম বিশ্বস্ত কর্মী আর বর্তমানে তিনি সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করতে চলেছেন। মাঝের সময়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে মধুর সম্পর্ক এখন অতীত। বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তুরুপের তাস তিনি। সেই যশবন্ত সিনহা ভবিষ্যতে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কিনা, তা সময় বলবে। অবশ্য এর মাঝেই দেশের রাজনীতিতে উঠে এলো বাবা ও ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন যশবন্ত সিনহা। কিন্তু বাবার এহেন পদক্ষেপ সত্বেও বর্তমানে বিজেপি সাংসদ হিসেবেই পদ সামলে চলেছেন তাঁর পুত্র জয়ন্ত সিনহা। অবশ্য বাবা যখন রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চলেছেন, এমতাবস্থায় তাঁর একমাত্র পুত্রের অবস্থান কি হতে চলেছে, সেই প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন সামনে আসতে থাকে। অবশ্য এদিন নিজের অবস্থান সম্পর্কে খোলাসা করলেন ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরই দলের পক্ষ থেকে যশবন্ত সিনহাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম স্থির হওয়ার পরেই ঘাসফুল শিবির ছাড়েন যশবন্ত সিনহা। বাবার এই খবরে খুশি হলেও নিজের দলের প্রতি কাজ করে যেতে চান পুত্র জয়ন্ত। তিনি জানান, “আগের মতই আমি দলের হয়ে কাজ করে যাব। তবে আমি সকলের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে, আমাকে যশবন্ত সিনহার ছেলে হিসেবে দেখবেন না। বাবার এই খবরে আমি খুশি, তবে এটা পারিবারিক কোন ব্যাপার নয়। আমি বর্তমানে বিজেপির সাংসদ, তাই অতীতের মতোই নিষ্ঠার সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।”
প্রসঙ্গত, সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা ভোটের পূর্বে এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে সকল পক্ষ। যদিও এই নির্বাচনে কেন্দ্র সরকারের জেতা একপ্রকার নিশ্চিত, তবে হাল ছাড়তে নারাজ বিরোধী শিবির। সেই কারণেই তারা নিজেদের মধ্যে একের পর এক বৈঠকের মাধ্যমে সর্বসম্মতভাবে একজন প্রার্থী মনোনয়ন করার চেষ্টা করে চলেছিল। প্রথমদিকে অবশ্য শরদ পাওয়ার, ফারুক আব্দুল্লাহ সহ বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম উঠে আসলেও তারা প্রত্যেকেই অসম্মতি প্রকাশ করেন। অবশেষে বিরোধীদের দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ সভাপতির নামই চূড়ান্ত করা হয়। তবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর লড়াইয়ে বিজেপির নির্বাচিত প্রার্থীকে কতটা লড়াই দিতে পারেন যশবন্ত সিনহা, সেটাই দেখার।