বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড়ে (Aligarh)এক মুসলিম পরিবারের উপর জারি করা হল ফতোয়া। জানা যাচ্ছে, রুবি আসিফ খান এক মুসলিম মহিলা নিজের বাড়িতে ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করেন। আর তারপরই মুসলিম ধর্মগুরুদের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি।
ওই মহিলা জানান, হিন্দুদের সমস্ত উৎসবই তিনি সমস্ত রীতি মেনেই পালন করেন। এবং ভবিষ্যতেও তিনি তাই করবেন। গণেশ পূজা করার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন মুফ্তি আরশাদ ফারুকী। তাঁর বক্তব্য মুসলিমরা শুধুমাত্র আল্লাহেরই উপাসনা করতে পারে, অন্য কারুর নয়।
এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিগড়ের রোরাওয়ার এলাকায়। ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চার প্রধান রুবি আসিফ খান এবং তাঁর স্বামী আসিফ খান নিজেদের বাড়িতে গণেশ মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেছেন। শাহজমল এলাকার এডিএ কলোনির ওই দম্পতি থাকেন। বাজার থেকে একটি গণেশের মূর্তি কিনে বাড়িতে স্থাপন করার পরই মুসলিম সমাজের রোষের মুখে পড়েন তাঁরা।
রুবি আসিফ খান বলেন, ‘আমি বাড়িতে গণেশ প্রতিমা স্থাপন করেছি ৭ দিনের জন্য। কোনও রকম ধর্মীয় বিভেদ আমি মানি না। সমস্ত ধর্মের উৎসবই আমি পালন করি। এটা আমার মনের বিশ্বাস। আমার ভালোলাগে সমস্ত উৎসবে অংশ নিতে।’ তিনি আরও জানান, তাঁর পূজা করা নিয়ে অনেকেরই সমস্যা। এর আগেও নাকি তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
মুসলিম ধর্মের মানুষ হয়ে পূজা করাকে ঠিক মেনে নিতে পারে নি মুসলিম সমাজ। রুবির এই হিন্দু দেবদেবীর পূজা করার বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা মুসলিম ধর্মগুরু সাহারানপুরের মুফতি আরশাদ ফারুকীকেও ছেড়ে কথা বলেন নি তিনি। ফারুকীর উদ্দেশ্যে রুবি বলেন, ‘এই মানুষগুলো দেশকে বিভক্ত করতে চাইছে। এই রকম মৌলবিরা কোনও দিনই সত্য মুসলিম হতে পারেন না। এরা সব উগ্রবাদী। এরা সবাই জেহাদি মানসিকতার দাস। এরা ভারতে থেকেও ভারতের কথা বলে না।এই সমস্ত জেহাদিরাই ফতোয়া জারি করে। যদি এরা সত্যিই মুসলমান হতেন তাহলে এই রকম কথা বলতেনই না।
Made in India