বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হওয়ার পর থেকেই যেন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই আতঙ্কে এবার উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়লেন ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর তারালি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তাঁদের আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশ ওই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু।
এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের ফিরে যাওয়ার চেষ্টা
জেরায় তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা প্রায় তিন বছর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। সেই থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছিলেন তাঁরা। তবে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তাঁদের মনে হয়, এবার হয়তো শনাক্ত হয়ে যাবে। তাই গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আজই তাঁদের বসিরহাট আদালতে তোলা হয়েছে।
ইসলামপুরে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি যুবক
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরেও পুলিস ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি যুবক। ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের বালিয়াডাঙ্গা থানার এলাকায়। তাঁর নাম পঞ্চানন পাল, তবে ভারতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘রূপায়ণ পাল’ নামে। দিল্লির গুরগাঁওয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।
শনিবার ইসলামপুরের পণ্ডিত পোঁতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাভিটা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ভারতীয় আধার ও ভোটার কার্ড। এমনকি ভারতীয় পাসপোর্টও পাওয়া গেছে তাঁর কাছ থেকে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস ও বিএসএফ আধিকারিকরা। ধৃতকে শনিবার ইসলামপুর আদালতে তোলা হয়।
ভবানীপুরে গ্রেপ্তার ৩ আফগান নাগরিক
একইদিনে কলকাতার ভবানীপুর থেকেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩ আফগান নাগরিক। অভিযোগ, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁরা ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তৈরি করেছিলেন ভারতীয় আধার, ভোটার ও প্যান কার্ড। ভবানীপুর থানা সূত্রে খবর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর এলাকায় বসবাস করছিলেন।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের শিল্প ছবি তুলে ধরতে ধনধান্যে বসছে ‘কনফ্লেভ’, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে বিনিয়োগকারীদের সমাবেশ
সিকিউরিটি কন্ট্রোল থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই ভবানীপুর থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ।













