বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচ ছিল নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচটি। ওই ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ ফলে ড্র হওয়ায় ম্যাচটি গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময় অবধি। সেখানেও খেলার ফল না আসায় প্রয়োজন পড়ে টাইব্রেকারের এবং নেদারল্যান্ডসের দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ হয়ে যান ম্যাচের নায়ক।
কিন্তু সেই ম্যাচটি নজর কেড়েছিল আরও একটি কারণে। ওই ম্যাচটির দায়িত্বে ছিলেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও ম্যাথিউ লাহোজ। তিনি নির্ধারিত সময়ে মোট ১৬ বার মাঠের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে হলুদ কার্ড বার করেছিলেন। তাছাড়াও ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও একজন ডাচ ফুটবলারকে এবং ম্যাচ চলাকালীন দুই দলের বেঞ্চে বসে থাকা কোচিং স্টাফ এবং ফুটবলারদের উদ্দেশ্যেও হলুদ কার্ড বার করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এই নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন দুই পক্ষই। রেফারি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসি। তারপরে সুর মিলিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজও। এরপর ক্যারুসেল দেপোর্তিভোর মতে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের হতাশাজনক দায়িত্ব পালনের পর লাহোজ বাড়ি ফিরছেন। তাকে এই বিশ্বকাপে আর কোনও ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে হবে না বলেই খবর সামনে এসেছে।
কিন্তু এর ফলে বিপাকে পড়েছে লা অ্যালবিসেলেস্তেরাও। আর্জেন্টিনার স্কোয়াডের তীব্র সমালোচনার পর ফিফা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাই, লিও মেসিকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল মিস করতে পারে এমন একটি বড় ঝুঁকি রয়েছে।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে, ফিফা আর্টিকেল ১২ এবং ১৬ লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের তদন্ত শুরু করেছে যা যথাক্রমে খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের বাজে ব্যবহার এবং ম্যাচগুলিতে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধেও আর্টিকেল ১২-তে মামলা দায়ের হয়েছে।