বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষার মরশুমে বাঙালির হেঁশেলে ইলিশ (Ilish) থাকবেনা তাই কখনও হয়! ইলিশ ভাজা থেকে ভাপা, পাতুরি, ঝোল … হরেক পদ একেক দিন ঠাঁই পায় পাতে। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় তো বটেই, পাশাপাশি গুণেও ভরপুর মাছের রাজা ইলিশ। অনেকে তো কেবল ইলিশের জন্যই বর্ষার অপেক্ষা করে থাকে। ঝমঝমে বৃষ্টির সাথে পাতে খিচুড়ি আর ইলিশ, ঠিক যেন অমৃত।
আর এই মরশুমের প্রথম ইলিশ এল দীঘায় (Digha)। শুক্রবার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টন ইলিশ এসেছে দিঘার মোহনার বাজারে। ইলিশ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকেরা সকলেই। জানা যাচ্ছে, সাইজও যথেষ্ট বড়। ইলিশের আকার, ওজন দেখে বেশ খুশি মৎস্যজীবীরাও।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এতদিন ইলিশের স্বাদ নিয়ে যে অভিযোগ ছিল সবার, আশা করা যায় সেটা এবার মিটবে। কারণ এবার যে ইলিশ উঠেছে তার আকার আর ওজন দেখে বেশ খুশি মৎস্যজীবীরা। তারা জানিয়েছেন, এই ওজনের ইলিশ এবার সুস্বাদু হবে। দামের কথা বললে, ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এদিকে ৭০০ থেকে এক কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে হাজার টাকায়। সূত্রের খবর, সাত থেকে দশদিন আগেই ট্রলারগুলি সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল। একদিকে পুবের হাওয়া, অন্যদিকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি, এই দুটোই ইলিশের পক্ষে অনুকূল। সেই কারণেই ইলিশ উঠেছে ভরপুর।
মৎস্যজীবীদের কথায়, “আরও ট্রলার সমুদ্রে আছে সেগুলো ফিরছে। খুব শীঘ্রই রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে আমদানি হবে দিঘার সুস্বাদু ইলিশ।” উল্লেখ্য, এর আগে গত তিন বছর সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। তবে তিন বছর পর যে পরিমাণ রূপোলি শস্যের দেখা মিলেছে তাতে বেজায় খুশি মৎস্যজীবীরা।