জেনে নিন রুদ্ররূপী শিবের নটরাজ রূপের উৎপত্তি রহস্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিব (Shib) ঠাকুরের রুদ্রমূর্তির পাশাপাশি কিন্তু নটরাজ মূর্তিও (Nataraja idol) জগত বিখ্যাত। নর্তক ও নিত্যনর্ত হিসাবেও কিন্তু আমরা দেবাদিদেবকে পেয়ে থাকি। পৌরাণিক যুগ থেকেই মহাদেব নৃত্য এবং সঙ্গীতে পারদর্শী ছিলেন। সমগ্র ভারত এবং ভারত মধ্যস্থ তামিলনাডুতে সবথেকে বেশি মহাদেবের এই নটরাজ রূপের মূর্তির দেখা পাওয়া যায়।

একাধারে কৈলাস পর্বতে সন্ন্যাসী, আবার গৃহস্থ রূপে তিনি পুত্র কন্যা সহ মাতা পার্বতীর স্বামী হলেন দেবাদিদেব মহাদেব। শ্মশানচারী বাব মহাদেব কিন্তু আবার যোগ ধ্যান ও শিল্পকলার দেবতাও। ভয়ঙ্কর রূপে তিনি যেমন দৈত্যবিনাশী, তেমন অন্যদিকে তিনি কিন্তু নৃত্য এবং সঙ্গীতের সৃষ্টিকারক।

nataraja cern

তাণ্ডব ও লাস্য এই দুই নৃতের সঙ্গে শিবের নাম জড়িত আছে। কাল-মহাকাল বেশধারী মহাদেবের নৃত্যকে তাণ্ডব নৃত্য বলা হয়। এই নাচ ধ্বংসাত্মক পরিচয় বাহক। অপরদিকে লাস্য হল মধুর ও সুচারু নৃত্যকলা।

আবেগময় লাস্য নৃত্য কলাকে পার্বতীর নাচ রূপে কল্পনা করা হয়। আবার অনেকে লাস্যকে অনেকে তাণ্ডবের নারীসুলভ বিকল্প বলেও মনে করেন। মহাদেবের এই দুই নৃতের বৈশিষ্ট্য ধ্বংস ও সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

shib 7

পূরাণ মতে, দেবাদিদেব যখন ক্ষিপ্ত হন, তখনই তার এই ভয়ঙ্কর নৃত্যের রূপ প্রকাশ্যে আসে৷ ধ্যানমগ্ন অবস্থা বা মায়াসুরের পিঠে তাণ্ডব নৃত্যরত অবস্থাতেই এই নটরাজ মূর্তি জগদ্বিখ্যাত। পরবর্তীতে এই নটরাজ মূর্তিই কিন্তু নৃত্যের প্রবর্তক হিসাবে বিবেচিত হয়৷ দেবাদিদেব শুধুমাত্র তাণ্ডবনৃত্যই করেন না, তাঁর মায়াময় রূপের প্রকাশ পাওয়া যায়। মহাদেবের এই রূপের উপাসনা করলে, প্রাণে আসবে তেজ,মনে আসবে বল।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর