বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে ভোট দিতে যাওয়ার উস্কানির কারণেই শীতলকুচিতে প্রাণ গিয়েছে চার জনের। এবার এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোচবিহারের থানায় FIR করলেন কোচবিহার জেলার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলি মিঞা। তাঁর দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচির একটি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকার মহিলাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ভোট দিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গণ্ডগোল করতে আসে, তাহলে মহিলারা একদল গিয়ে তাঁদের ঘেরাও করুন। একদল ঘেরাও করবেন আরেকদল ভোট দিতে যাবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী শীতলকুচির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল বিজেপি। এরপর কমিশনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি পাঠিয়ে ১০ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কমিশনের চিঠির জবাবে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন নি। ঘেরাও করা মানে আক্রমণ নয়, ঘেরাও মানে কথাবার্তা। এটি প্রতিবাদের আরেকটি রূপ। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার রাজনীতিতে এই ঘেরাও শব্দ চলে আসছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কমিশনের চিঠির জবাব দেওয়ার আগেই শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। কোচবিহারের SP দেবাশিস ধর বলেছিলেন, ‘৩০০-৩৫০ গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে তাঁদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এরপর বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়। যার জেরে চারটি তরতাজা প্রাণ হারায়।”
এই বিষয়ে কোচবিহার জেলার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলি মিঞা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানির জেরেই এলাকার মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে গিয়েছিল। আর এর পরিণতি চারজনের প্রাণ।” তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে ওনার বিরুদ্ধে এফআইআর করে ওনাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।