বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুক্তির অপেক্ষায় বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) ‘বেঙ্গল ফাইলস’। দিল্লি ফাইলসের নাম বদলে বেঙ্গল ফাইলস করেছেন তিনি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বলিউড। উত্তাপ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। টিজার রিলিজ হতেই আইনি বিপাকে জড়িয়েছেন পরিচালক। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। লেকটাউন থানাতেও বিবেক (Vivek Agnihotri) এবং স্ত্রী পল্লবী যোশীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। এবার সেই এফআইআর খারিজ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিচালক এবং প্রযোজক।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri) বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
অভিযোগকারী বলেন, বেঙ্গল ফাইলস ছবিতে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা অত্যন্ত বিতর্কিত। পাশাপাশি কিছু সাম্প্রদায়িক কথাবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে যা বাংলার সংষ্কৃতিতে আঘাত হানতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
কী অভিযোগ উঠেছে: বহরমপুর থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। হিন্দু দেবদেবীদের অবমাননার অভিযোগও আনা হয়েছে ছবির পরিচালক (Vivek Agnihotri) প্রযোজকের বিরুদ্ধে। সনাতন ধর্মকে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পা মোছার পাপোশে জগন্নাথদেবের ছবি! সমস্ত সীমা ছাড়াল চিন, ক্ষোভ চরমে উঠতেই যা হল…
ছবি নিয়ে মুখ খোলেন পরিচালক: জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দিল্লি ফাইলস তৈরি করছিলেন বিবেক (Vivek Agnihotri)। আবার এও শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়েই নাকি ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক। তবে এই ছবির জন্যই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে বিবেককে (Vivek Agnihotri)। সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক জানিয়েছিলেন, দিল্লি ফাইলস ছবিতে বাংলার হিংসার ইতিহাস তুলে ধরতে বিগত ছয় মাস ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ছোটপর্দা থেকেই শুরু কেরিয়ার, বড়পর্দা কাঁপিয়ে ফের সিরিয়ালে ফিরছেন নায়িকা!
বিবেকের (Vivek Agnihotri) কথায়, বাংলা এমন এক রাজ্য যা দুবার বিভক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে একাধিক গণহত্যা হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে দ্বিজাতিতত্ত্ব নিয়েই বিবাদ ছিল। কিন্তু বাংলায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল কমিউনিজম এবং নকশাল আদর্শ। বাংলার মতো ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী অন্য কোনো রাজ্য হয়নি।