বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর এক মাস কাটতে চললেও মর্মান্তিক ঘটনার ক্ষত আজও দগদগে দেশবাসীর মনে। পহেলগাঁওয়ের বৈশরণ উপত্যকায় একদল জঙ্গির গুলিতে নিহত হয় ২৬ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন হিন্দু পর্যটক। ওই নৃশংস ঘটনার জেরে ক্ষোভে যখন গোটা দেশ ফুঁসছে তখনই হাসপাতালে মিষ্টি বিলি করার অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরের দিনই হাসপাতালে মিষ্টি বিতরণ করায় এফআইআর দায়ের হয়েছে হৃষিকেশের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পরেরদিনই মিষ্টি বিলির অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশ এইমস হাসপাতালে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) ঠিক পরের দিন ২৩ এ এপ্রিল এইমস হাসপাতালে মিষ্টি বিতরণ করেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মামলাকারী ঋষিকেশের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র পাণ্ডে। তাঁর অভিযোগ, গোটা দেশ যখন পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) জেরে শোকস্তব্ধ, তখন জেনেশুনে হাসপাতালে মিষ্টি বিলি করে উদযাপন করেন ওই চিকিৎসক। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করার মতোই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করেন অভিযোগকারী।
কী বক্তব্য অভিযুক্ত চিকিৎসকের: ১৬ ই মে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, রমজান এবং ইদ উপলক্ষে মিষ্টি বিলি করেছিলেন তিনি। পালটা মামলাকারীর প্রশ্ন, রমজান এবং ইদ একমাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাহলে এতদিন পর কেন মিষ্টি বিলি করলেন চিকিৎসক? তাও আবার বেছে বেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের (Pahalgam Attack) পরেরদিনই?
দায়ের হয়েছে এফআইআর: অভিযুক্ত চিকিৎসক দাবি করেছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল তাঁর ওটি ছিল। সেখানে কয়েকজন নার্সিং স্টাফ তাঁর কাছে ইদ উপলক্ষে মিষ্টি খাওয়ার আবেদন জানান। তাই তিনি মিষ্টি বিলি করেছিলেন। যদিও সে দাবি মানতে নারাজ অভিযোগকারী। তাঁর বক্তব্য, সবটা এত কাকতালীয় হতে পারে না। এটা পুরোপুরি ভারত বিদ্বেষ।
আরো পড়ুন : ইউনূসের ‘অতি চালাকি’র ফল, ভারতের এক ঘোষণায় কোটি কোটি টাকা খুইয়ে মাথায় হাত বাংলাদেশের
অভিযোগকারী আরো দাবি করেছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু এবং ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন। যদিও হৃষিকেশ থানার আধিকারিক বিনোধ কুমার এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি।