বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টিকরি বর্ডারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কৃষক আন্দোলনে অংশ নিতে যাওয়া এক তরুণীর সঙ্গে হওয়া ধর্ষণের মামলা সামনে এসেছে। হরিয়ানা পুলিশ এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কদিন আগেই ওই তরুণী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছে। তরুণীর বাবা অভিযোগ করে বলেছেন যে, চারজন মিলে ওনার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার পিতার অভিযোগের পর পুলিশ FIR দায়ের করেছে।
IPC ধারা 365, 342, 354, 376 আর 120 বি অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, অপহরণ, ব্ল্যাকমেল আর হুমকি দেওয়ার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আপাতত চারজন কৃষক নেতা আর দুজন মহিলাকে অভিযুক্ত বানিয়েছে। বাংলার মেয়ের ধর্ষণের মামলায় কৃষক নেতারা নিজেদের কাঁধ থেকে দোষ ঝাড়তে ব্যস্ত।
बंगाल की बेटी को #FarmersProtest में ला कर किया सामूहिक दुष्कर्म, पिता को मिले न्याय.@ArvindKejriwal जी aap के MLA उम्मीदवार, प्रभारी के ख़िलाफ़ दुष्कर्म का आरोप, न्याय को भटकते रहे पिता की शिकायत पर FIR दर्ज …
आज की ये खबरें इंसानियत को शर्मसार करने वाली हैं. @sharmarekha pic.twitter.com/ss9AixSAV4
— Neelkant Bakshi (Modi ka Parivar) 🇮🇳 (@neelkantbakshi) May 10, 2021
উল্লেখ্য, ওই তরুণী ৩০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মৃত্যুর চারদিন আগে তাঁকে শিবম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এখন তরুণীর বাবার অভিযোগে টিকরি বর্ডারে কৃষি আন্দোলনের জন্য সোশ্যাল ক্যাম্পেন চালানো অনুপ আর মালিক সমেত চারজনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে।
ওই তরুণী ১১ এপ্রিল অভিযুক্তদের সঙ্গে বাংলা থেকে দিল্লী গিয়েছিল। দিল্লী থেকে টিকরি বর্ডার পর্যন্ত অভিযুক্তদের সঙ্গেই ছিল সে। তরুণীর ধর্ষণে অভিযুক্তরা টিকরি বর্ডারে কৃষক আন্দোলনে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অনিল মালিক, অনুপ সিংহ, অঙ্কুশ সাঙ্গওয়ান, জগদীশ বরাড়, কবিতা আর্য আর যোগিতা সুহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
बेहद शर्मनाक.. AAP के 2 नेताजी ने टिकरी बॉर्डर पर आंदोलन में आयी युवती के साथ किया दुष्कर्म, संयुक्त किसान मोर्चा ने माना कड़ी कार्यवाही हो दोषियों के ख़िलाफ़ ..@ArvindKejriwal जी आप की पार्टी क्या करना चाहती है? pic.twitter.com/13QT8O66ta
— Neelkant Bakshi (Modi ka Parivar) 🇮🇳 (@neelkantbakshi) May 9, 2021
বিগত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি সংগঠন এই মামলা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে। শনিবার টিকরি বর্ডারে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার মিটিংও হয়েছিল। মামলার তদন্তের জন্য DSP-র নেতৃত্বে তিন ইনস্পেকটর আর সাইবার সেল মিলে একটি SIT গঠন করেছে। শহরের থানা ইনচার্জ জানান, অভিযুক্তদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
বলে দিই, যুবতী করোনায় মারা যাওয়ার পর কৃষকরা শবযাত্রা বের করেছিল। কৃষকরা সংক্রমিত তরুণীর শবযাত্রা বের করে করোনার নিয়মের লঙ্ঘন করেছিল। যার ফলে কৃষকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কৃষক আন্দোলনে এটাই প্রথম মৃত্যু।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে, একদিকে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে, আরেকদিকে যুবতীর শেষকৃত্যও হয়ে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে পুলিশের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে যে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করা। বলে দিই, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় না।