বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের শুরুতেই রাজধানীতে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ভোরের আলো তখনও ফোটেনি, শীতঘুম দিচ্ছে দিল্লিবাসী। ভোর ৪.২৫ নাগাদ পশ্চিম দিল্লির পিরাগারহি এলাকায় এক ব্যাটারি কারখানায় আগুন লেগে যায়। কারখানার মধ্যে বিস্ফোরণের জেরে বিল্ডিং-এর এক অংশ ধসে পড়ে। খবর পেতেই অকুস্থলে হাজির হয় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দিল্লি পুলিশের দল।
আগুন দাউ দাউ করে বাড়তে থাকে, ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ক্রমশ। এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কারখানা চত্বরে। একে একে আরও দমকলের ইঞ্জিন এসে হাজির হয়। সব মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে কালো ধোয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে যায়। আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।
আগুনের জেরে বহু মানুষ ওই বিল্ডিং-এর মধ্যে আটকে পড়েন। দমকল কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়ে যান। হঠাত্ বিস্ফোরণের ঘটে বিল্ডিং-এর মধ্যে। কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। ওই ভেঙে পড়া অংশের মধ্যে আটকে পড়েন বহু মানুষ ও দমকল কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনই দমকল কর্মী ছিলেন। দমকলের ৮ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলেছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে দমকল বাহিনী।
প্রসঙ্গত, দু-মাস আগে গত নভেম্বরে দিল্লির এক চারতলা বাড়ির ছাদে একটি কারখানায় আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ৯ জনের। তারও কয়েকদিন আগে আনাজ মান্ডিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায় ৪৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। রাজধানীর মতো জায়গায় আখছাড় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে কেজরিওয়ালের সরকার।