বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার রাতে শিশু হাসপাতালে (Children Hospital) অগ্নিকাণ্ড! আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৭জন সদ্যোজাত। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই দমকল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় শিশুদের। চিকিৎসা চলাকালীনই এর মধ্যে প্রাণ হারায় ৬ জন সদ্যোজাত। একজনকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রবিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সেই শিশুটিও।
গতকাল রাতে পূর্ব দিল্লির (Delhi) বিবেক বিহার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। রাত ১১:৩২ নাগাদ স্থানীয় একটি শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র থেকে দমকলের কাছে ফোন আসে। অগ্নিকাণ্ডের কথা জানা মাত্রই দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। যদিও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ৭জন সদ্যোজাত প্রাণ হারিয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে অন্য একটি হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই দমকলের ৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই নানান ওয়ার্ডে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুনঃ ‘কালীঘাটের কাকু…’! এবার জেলে যাবেন অভিষেক? ভোটের মধ্যেই বোমা ফাটালেন অভিজিৎ, তোলপাড়!
ওই হাসপাতাল থেকে দমকল ১২জন শিশুকে উদ্ধার করেছিল। এর মধ্যে ৬জন শিশুর রাতের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থা ছিল একজনের। রবিবার সকালে সেই শিশুটিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি ফেরার। তাঁকে খোঁজার জন্য রাজস্থানে পাড়ি দিয়েছে দিল্লি পুলিশের একটি টিম।
শনিবার রাতে বহু সদ্যোজাতের চিকিৎসা চলছিল। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই দমকলকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে। এদিকে সদ্যোজাতদের অভিভাবকরা সম্পূর্ণ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। তাঁদেরও ঘটনাস্থল থেকে একটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গতকালই গুজরাটের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জন শিশু ছিল। সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল রাতে শিশু হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণ হারাল ৭জন সদ্যোজাত।