বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টালা ট্যাংকের পর এবার খাস কলকাতা (Kolkata) শহরের একাধিক জায়গায় বন্ধ থাকবে জল সরবরাহ পরিষেবা। গতকাল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এই ঘোষণা করেছেন। জানা যাচ্ছে, এবার নতুন বছরেই গার্ডেনরিচ এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে একদিন। মেরামতির কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত এর আগে কলকাতার টালা ট্যাংকের জল সরবরাহ পরিষেবা একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। যার ফলে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছিল বিরাট জল সংকট।
কলকাতায় (Kolkata) বন্ধ থাকবে জল পরিষেবা
ডিসেম্বর মাসেও প্রায় এই একই সময়ে একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল জল সরবরাহ পরিষেবা। আর এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) আগামী ১৮ জানুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে ১৯ জানুয়ারি সকাল ৬’টা পর্যন্ত জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তারপর আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলেই জানিয়েছেন মেয়র। গতকাল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান থেকে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে একদিন জল সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আগামী দিনে গার্ডেনরিচের জল সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার প্রভাব পড়তে চলেছে কালীঘাট, রানীকুঠি, গড়ফা, চেতলা, গলফগ্রিন, বেহালা, বাঁশদ্রোণী, মেটিয়াবরুজ সংলগ্ন এলাকায়। গার্ডেনরিচের জল প্রকল্প থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) টালিগঞ্জ,যাদবপুর, বেহালা,মেটিয়াবুরুজ,মহেশতলা, বজবজ–সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে সারপ্রাইজ কেন্দ্রের, বরাদ্দ হল করের টাকা, ঝুলিতে কত এল জানেন?
শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে মেয়র ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘গার্ডেনরিচের ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকালের পর থেকে পানীয় জলের পরিষেবা ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকাল ছটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তারপর আবার চালু হবে।’ প্রসঙ্গত ডিসেম্বর মাসেই মেরামতির কাজের জন্য টালা ট্যাঙ্ক থেকে জল সরবরাহ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। একবেলা জল সরবরাহ বন্ধ রাখায় শহরের (Kolkata) বিস্তীর্ন এলাকায় ব্যাপক জল সংকট তৈরি হয়েছিল তখন। আর এবার গার্ডেনরিচের জল সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য কলকাতার ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ বোরোতে আংশিক আর বোরো ১৩ ,১৪, ১৫ এবং ১৬ -তে পুরোপুরি জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অধিকার অনুযায়ী কোন আবাসনের সিসি থাকলে জলের লাইন নিকাশি ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র জানিয়েছেন, ‘বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। কোন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এমনকি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন লোন দিতে পারবে না। কোথাও বেআইনি নির্মাণ হলে তা জানাতে আমাদের এসি ডিজিটাল রোস্টার এবং ডায়েরি মেন্টেন করতে হবে। কেউ এই কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ একই সাথে ফিরহাদ জানিয়েছেন এবার থেকে, ‘প্রত্যেকটি বিল্ডিং প্ল্যানের সঙ্গে নিয়ম বলে দেওয়া হবে।’