বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টা! সুশান্ত ঘোষ গুলি কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা, খুনের জায়গা নয়, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশ বিভাগকে একহাত নেন কলকাতার মেয়র।
সুশান্ত-কাণ্ডে কী বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত (Susanta Ghosh)। গতকাল সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে বসে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। স্কুটারে চেপে দু’জন আসেন, তাঁদের মধ্যে একজন সুশান্তকে লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলি চালানোর চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corportion) মেয়র এদিন স্পষ্ট বলেন, উত্তরপ্রদেশ, আমেদাবাদের সংস্কৃতি এখানে করতে দেওয়া হবে না। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা, খুনের জায়গা নয়, বলেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশকে বেশ কিছু নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে কার্তিক ফেলেছে? প্রশ্ন করতেই মুচকি হাসি রচনার! তৃণমূল সাংসদ বললেন…
পুলিশ বিভাগকে একহাত নিয়ে ফিরহাদ প্রশ্ন করেন, এত বাইরের ক্রিমিনাল আসছে কী করে? একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ‘পুলিশকে খুঁজে বের করতে হবে উদ্দেশ্য কী এবং কারা করেছে’। এদিন ‘আন্তঃরাজ্য ক্রিমিনাল’দের আটকানোর বার্তাও দেন ফিরহাদ। একইসঙ্গে বলেন, সুশান্ত ঘোষের পরিবারের পাশে আছি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা কিনা জানতে চাওয়ার ফিরহাদ (Firhad Hakim) জোর গলায় বলেন, ‘কীসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? ক্রিমিনাল ইজ ক্রিমিনাল। তাঁকে অ্যারেস্ট করতে হবে। যখনই বিজেপির কারোর সঙ্গে হয় তখন মনে হয় তৃণমূল মারছে। আর তৃণমূলের কারোর সঙ্গে হলে মনে হয় গোষ্ঠী। কীসের গোষ্ঠী? পুলিশকে বলছি গ্রেফতার করো… গোষ্ঠী নয়। ক্রিমিনালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞেস করো কে আছে। যদি গোষ্ঠী হয়, গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করো। আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক’।
এদিকে কসবার এই গুলিকাণ্ডে এখনও অবধি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ভিনরাজ্যের বাসিন্দা বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। এবার এই নিয়েই পুলিশকে বড় নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)।
গতকাল সন্ধ্যার সম্পূর্ণ ঘটনা সুশান্ত ঘোষের বাড়ির সামনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্কুটারে চেপে আসা দু’জন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন দু’বার দু’টি বন্দুক থেকে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। এরপর পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে ফেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।