বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ গোটা দেশ জুড়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটদানের মাধ্যমে সর্বপ্রথম নাগরিকের নির্বাচন হতে চলেছে। একদিকে, বিজেপির (BJP) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu), আবার অপরদিকে বিরোধী পক্ষ থেকে যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) প্রার্থী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তা চলবে। একুশে জুলাই হতে চলেছে ভোট গণনা। তবে তার মাঝে এদিন ভোট দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিমের দাবি, “বাংলা থেকে রেকর্ড ভোট পাবেন যশবন্ত সিনহা। বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রী রয়েছে, যারা যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেবে।” যদিও এর পাল্টা দিয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সাংসদ এবং বিধায়ক মিলে ভোটদান করেন। এক্ষেত্রে বাংলায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বিরোধীদের পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। সাংসদ এবং বিধায়ক মিলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার সংখ্যা ২৫৪, যেখানে বিজেপির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা মোটে ৮৬। তবে ভোটদানের আগে প্রত্যেকটি দলের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শাসকদলের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুখেন্দুশেখর রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আবার অপরদিকে বিজেপির সকল সাংসদ এবং বিধায়কদের গতকাল একটি হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। সেখান থেকেই এদিন বিধানসভায় ভোট দিতে আসেন সকলে।
এর মাঝেই এদিন ভোট দিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিং হতে চলেছে। বিজেপির এমন অনেক সংসদ এবং বিধায়ক রয়েছে, যারা যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে ইচ্ছুক।” তবে তৃণমূলের এই দাবি মাঝে পাল্টা দিয়েছে বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের মতে, “যে যাই বলুক না কেন, বিজেপির তরফ থেকে সব ভোট দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া হবে। বরং তৃণমূলের এমন অনেক নেতা-নেত্রী রয়েছে, যারা শেষ পর্যন্ত আমাদের পদপ্রার্থীকেই ভোট দেবে।”
উল্লেখ্য বিজেপির পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসী ভোট তাঁর দিকেই যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। অবশ্য রাজ্যে বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মান্ডির মত আদিবাসী নেতা-নেত্রীদের দাবি, “আমরা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবো না। আমাদের আদিবাসীদের কোন নির্দিষ্ট ধরনের ধর্ম হয় না। কিন্তু দ্রৌপদীদেবী নিজেকে সবসময় হিন্দু বলেই দাবি করেন, তাই ওনাকে সমর্থনের কোন প্রশ্ন নেই।”
উল্লেখ্য, একুশে জুলাই ভোট গণনা শেষে কি ফল বেরোয়, তা সময়ই বলবে। অবশ্য এদিন গণনার পূর্বে যশবন্ত সিনহা বলেন, “যদি আপনারা দেশে গণতন্ত্র চান, তবে আমাকে ভোট দিন। আমি গণতন্ত্রের পক্ষে।” বর্তমানে অবশ্য কেন্দ্র সরকারের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শেষ পর্যন্ত বাজি জেতেন, নাকি শেষ মুহূর্তে সকল পরিকল্পনা পাল্টে দেয় বিরোধী শিবির, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছে গোটা দেশবাসী।