বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘কাজ না করতে পারলে চেয়ার ছেড়ে দেব’, কাজে পুরসভার গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যই করতে শোনা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
আগের মেয়াদেই কলকাতাবাসীর কথা, অভাব, অভিযোগ সরাসরি জানতে ‘টক টু মেয়র’ নামের একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার সূত্রপাত ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে আসা একটি ফোন কলকে ঘিরে। উত্তর কলকাতার দমদম এলাকার বাসিন্দা দিব্যেন্দু দত্ত ফোন করেন ফিরহাদ হাকিমকে। সেখানে মেয়র তাঁর সমস্যার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, একই সমস্যা নিয়ে আগে দুবার ফোন করেও কাজ হয়নি কিছুই। কিন্তু নিরুপায় হয়েই আবার ফোন করছেন তিনি। সাউথ সিঁথি রোড থেকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অবধি রাস্তার নিকাশি নালা আটকে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ফলে কোনোমতেই জল বেরোচ্ছে না তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। অবস্থ এতই খারাপ যে মশা মাছির উপদ্রবে টেকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে একপ্রকার।
একথা শোনার পরই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য পিকে দুয়া নামে এক আধিকারিককে। তিনি বলেন, ‘পিকে দুয়া সাহেব, বরো ওয়ান কী করছে? এটা তো ছোটোখাটো ব্যাপার’। পুরো ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করে তাঁকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
এরপরই আরও সপ্তমে চড়ে তাঁর মেজাজ, পাশে বসে থাকা আধিকারিকদের উদ্যেশ্যে বলেন, ‘আমাকে ফোন করার পরও সমস্যার সমাধান হল না। এটি আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। কাজই যদি না করতে পারি তাহলে মেয়রের চেয়ারই ছেড়ে দেব’। ক্ষুব্ধ হয়ে আধিকারিকদের তিনি বলেন, ‘এরকম ক্যাজুয়ালি ব্যাপারটা নেওয়া যায় না। আমি একজন মেয়র। কাজ করতে হবে এবং সেই কাজের রেগুলার আপডেট এবং রিপোর্ট দিতে হবে, কাজ না করলে দরকারে পাল্টাতে হবে সোয়ারেজ এবং ড্রেনেজের ডিজিকেও’। পুরো ব্যাপারটি সোম মঙ্গলবারের মধ্যেই দেখে নেওয়া হবে, এই আশ্বাসই দিব্যেন্দু বাবুকে দিয়েছেন মেয়র।