বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ব্যাপক মাত্রায় পার্কিং ফি বৃদ্ধি করে। এই নিয়ে যখন জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেই সময় আজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই বিষয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পার্কিং ফি বৃদ্ধির পক্ষে নন। কলকাতা পুরসভা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা না করেই এই বৃদ্ধি করেছে।
কুণাল এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) কলকাতার মেয়রের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই পছন্দ করেননি। অতিরিক্ত এই ফি প্রত্যাহার করতে হবে। কুণালের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহল তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রসায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেয়। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে থাকে, ববি হাকিম (Firhad Hakim) এর সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে আপত্তি জানাচ্ছেন তার দলেরই মুখপাত্র। এরপর মেয়রের মর্যাদা কোথায় থাকে!
ববি হাকিম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই বিষয়টা নিয়ে কুণাল সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক করেনি। একটা শৃঙ্খলা রয়েছে দলে। মুখ্যমন্ত্রী বললে আমি নিজেই প্রত্যাহার করে নিতাম। ফলে, ববি-কুণালের দ্বন্দ তৈরী হয়েছে তার একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শাসক দলেরই দুই নেতার মত পার্থক্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে তিনি কুনাল ঘোষের সাংবাদিক বৈঠকে করা মন্তব্যে আহত হয়েছেনে। হয়তো অভিমানও জমেছে তার মধ্যে। হয়তো তার মনে প্রশ্ন উঠেছে, এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ দলের ও সরকারের। কুণাল কেন অহেতুক আগে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এসব বলতে গেলেন। তাহলে কি উপর তলা থেকে কুণালকে এই কথা বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে!
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ব্যাপকভাবে পার্কিং ফি বৃদ্ধি করে। তাদের যুক্তি পুর এলাকায় আরো ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজস্ব বৃদ্ধি দরকার। পুর কর্তারা জানাচ্ছেন সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কর্তাদের বক্তব্য, পার্কিং ফি এর ক্ষেত্রে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে সেই ফাঁকফোকর বন্ধের। আজ কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই চান না সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপুক।