প্রায় ৯০০ কোটির দেনা কলকাতা পুরসভার! চিন্তায় ঘুম উড়ল সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সময়টা মোটেই  ভালো যাচ্ছে না কলকাতা পুরসভার। এমনিতেই চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালের রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কেএমসি। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো পাহাড় প্রমাণ দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে কলকাতা পুরসভা। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন উপরমহল।

প্রায় ৯০০ কোটির দেনা কলকাতা পুরসভার (Firhad Hakim)

তবে এই বিষয়ে কলকাতা পৌরসভার (Firhad Hakim) কর্তারা মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন। যদিও সূত্রের  খবর এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার দেনা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। তাই সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেনা ভারে কলকাতা পুরসভার অবস্থা খুবই শোচনীয়।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে পুরবোর্ড গঠনের সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেছিলেন, ‘৭০০ কোটি টাকার দায়ভার নিয়ে এই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার রোজগার বৃদ্ধি করে বিষয়টির মোকাবিলা করাই হবে আমাদের কাজ’। কিন্তু এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার দেনার অংক দেখে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। দেনার পরিমাণ এতটা বেড়ে গেল কীভাবে? তাহলে কি রোজগার বৃদ্ধি করা যায়নি? প্রতিশ্রুতি দিয়েও কি দেনার মোকাবিলা করতে পারেননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ?

আরও পড়ুন : নভেম্বরেও ভ্যাপসা গরম! কবে বেরোবে সোয়েটার-চাদর? এসে গেল IMD-র পূর্বাভাস

যদিও কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর ২০২১ সালের পর থেকে কলকাতা পুরসভার আয় নাকি অনেকটাই বেড়েছিল। যার ফলে সে সময় দেনার পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৪০০ কোটিতে। কিন্তু চলতি বছরে সম্পত্তি কর, বিল্ডিং, লাইসেন্স, পার্কিং, মার্কেট, জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিভাগের আয় একই রয়েছে। যার ফলে রাজস্ব আয় মার খেয়েছে।

Firhad Hakim

এই কারণেই পাওনাদারদের টাকা মেটাতেই এখন কার্যত নাকানি-চোবানি খাওয়ার জোগার অর্থ বিভাগের। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে নানান সংস্থা এবং ঠিকাদারদের কাছে বিপুল পরিমাণ দেনা হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার। সূত্রের খবর, ২০২২  সালের পয়লা এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার মোট ৮৯৪ কোটি টাকার দেনা রয়েছে। এছাড়াও তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে,  ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে ৩৯৭ কোটি টাকা, ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে  ৪৭২ কোটি টাকা এবং ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের অগস্ট পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার আর্থিক বোঝা রয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর