জলমগ্ন কলকাতা, প্রাণ ওষ্ঠাগত শহরবাসীর! ‘পুরসভার হাতে জাদুকাঠি নেই” বললেন ফিরহাদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল রাত থেকেই প্রবল বর্ষণ চলছে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কাল এবং পরশুও রয়েছে ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন কলকাতা। ভারী বর্ষণের জেরে জায়গায় জায়গায় জমে গিয়েছে জল। এমনিতেই এবার বেশ কিছুটা আগে বর্ষা প্রবেশ করেছে বাংলায়। কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বেশ কিছুটা আগে প্রবেশ করায় বাংলায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে সময়ের আগেই। প্রভাব পড়েছে কলকাতাতেও।

আবহাওয়া দপ্তরের মতে গতকাল থেকে বেহালা, কালীঘাট, মমিনপুর, বালিগঞ্জ, চেতলা, ঠনঠনিয়া প্রভৃতি এলাকায় জল হয়েছে প্রায় ১৪৪ মিলিলিটারেরও বেশি। যার জেরে এখন স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি বেড়েছে সাধারন মানুষের। বিশেষত বস্তি এলাকাগুলিতে জল ঢুকে গিয়েছে ঘরের ভিতরে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম জলমগ্ন হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়েছে কলকাতার জন জীবন। বেশিরভাগ রাস্তাই জলমগ্ন। কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সেন্ট্রাল এভিনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, কলেজ স্ট্রিট তো বটেই, আমাস্টিট বিধান সরণিতেও থৈথৈ করছে জল। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

বেহালা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়। জল সরানোর কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, “যে পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে তাতে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে। কলকাতা একটা গামলার মত আর আমাদের হাতে কোনো জাদুকাঠি নেই। জোয়ার আসায় নদীতে জল ছাড়াও এখন বন্ধ রাখতে হয়েছে।” আসলে বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেশি যে পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন। সাধারণত যেখানে এক ফুটের বেশি জল জমে না, সেখানেও বেশিরভাগ জায়গাতেই কোথাও জল উঠে এসেছে হাঁটু অবধি আবার কোথাও কোমর অবধি। আর সেই কারণেই বিপর্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। তবে ফিরহাদ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে লাগাতার কাজ চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। আগামী বর্ষায় এতটা জল যাতে না জমে তার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।ভ


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর