‘নায়িকার ফ্রক ধরে ভোটে জিতব, একথা স্বপ্নেও ভাবিনি’, বললেন ফিরহাদ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যবাসীর জন্য উদ্বিগ্ন হলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। উত্তীর্ণতে এক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আমায় বলেছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে। আমি আমার প্রচার ছেড়ে এখন শুধু সেফ হোম (Safe Home) তৈরি এবং মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার কাজ করব। আমাদের কাছে আগে মানুষের প্রাণ, তারপর নির্বাচন’।

এদিন তিনি বলেন, ‘উত্তীর্ণতে ৫০০টি বেড, কিশোর ভারতীতে ৫০০টি বেড, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০টি বেড, আনন্দপুরে আরও ৭০০ বেশ বিশিষ্ট সেফ হোম প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমে তাঁকে সেফ হোমে আনা হবে। তারপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। সেখানে করোনা মুক্ত হলে তাঁকে ফের সেফ হোমে এনে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ওই সব সেফ হোমের বাইরে সর্বক্ষণ ১০টি করে অ্যাম্বুলেন্স থাকবে’।

Firhad Hakim 4

করোনাকালেই নন, প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে নানারকম কাজ করে এসেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সর্বক্ষণ মানুষের পাশে থেকেছেন, পরিষেবা দিয়েছেন। কিন্তু এই নির্বাচনী মরশুমে, নিজের কেন্দ্রে ভোট প্রচারের জন্য কোন তারকা প্রার্থী বা অভিনেত্রীকে আনেননি তিনি।

এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকি আমি। তাদের পরিষেবা দিই। প্রতিদিনই নিজের কেন্দ্রে ৮-১০ ঘণ্টা করে বসে মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। এমনকি মাঝরাতে ফোন এলেও ছুঁটে যাই মানুষের পাশে। হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু শ্মশানে যাওয়া- সবক্ষেত্রেই আমাকে পাশে পান মানুষ’।

এরপর তিনি বলেন, ‘আমি সারাবছর পড়াশুনা করি। শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য পড়লে, নায়িকাকে ডাকতাম। আমার শুভাকাক্ষীরা র‌্যালিতে নায়িকা আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এমনকি অভিনেত্রীরা আসতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু দেখুন বিগত ১০ বছর ধরে তো দিন-রাত মানুষের পাশে ছিলাম, তাই নায়িকার ফ্রক ধরে নির্বাচনে জিততে হবে- এটা স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তাই আমি রাজী হইনি। আমার কাজের পরিবর্তে শুধুমাত্র মানুষের আশীর্বাদ, ভালোবাসা চেয়েছি’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর