বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষা অর্থাৎ SIR নিয়ে এখন শহরজুড়ে উত্তেজনা চরমে। এই ভোটের তালিকা সংশোধন করার জন্য প্রয়োজন জন্ম শংসাপত্র। কারণ, জন্ম শংসাপত্র ছাড়া কোনও নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় সংশোধন করা সম্ভব নয়। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বার্থ সার্টিফিকেট অর্থাৎ জন্ম শংসাপত্র নেওয়ার জন্য সকাল থেকে মানুষের ভিড় জমছে কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation)।
বুধবার রেকর্ড ছাড়ানো ভিড় কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation)
গত সাতদিন ধরে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) সামনে ভিড় যেন থামছেই না। বুধবার সেই দৃশ্য অতীতের সব রেকর্ড পার করে ফেলল। কলকাতা পুরসভার মূল গেট থেকে শুরু করে লাগোয়া রক্সি সিনেমা হল পর্যন্ত সাপের মতো লাইন পড়ে গিয়েছিল। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শংসাপত্র নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারেরও বেশি আবেদনকারী। কেউ অফিস ছুটি নিয়ে, কেউ আবার ভিন রাজ্য থেকে বিশেষভাবে এসেছেন শুধু এই সার্টিফিকেটের জন্য।
আতঙ্কে উদ্বিগ্ন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
সব খবর শুনে উদ্বিগ্ন হয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আরও দ্রুত জন্ম শংসাপত্র দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) কে। এদিন মেয়র বলেন, “মানুষ আতঙ্কিত। তাই দৈনিক প্রতিলিপি কপির সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হোক।” পুরস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এখন দিনে গড়ে ১৫০টি জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে জানানো হয়েছে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
ভিন রাজ্য থেকেও আবেদন
পুরসভার এক কর্তা জানান, “শুধু কলকাতার বাসিন্দা নন, ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্যের মানুষও এখন পুরসভায় আসছেন। তাঁদের জন্ম শহরের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে। কাজের সুবাদে অনেকে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু বা অন্য রাজ্যে আছেন। এখন অফিস ছুটি নিয়ে ছুটে আসছেন জন্ম শংসাপত্র নিতে।” এমনকি ভিন জেলার থানাগুলি থেকেও একাধিক জন্ম শংসাপত্র পাঠানো হচ্ছে যাচাইয়ের জন্য। এই আবেদনগুলির অনেকটাই পাসপোর্ট বা ভিসা সংক্রান্ত।

আরও পড়ুনঃ দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা, ধৃত বেড়ে ৩
মেয়র স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন আর হাতে লেখা জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হবে না। প্রতিটি সার্টিফিকেটই কম্পিউটারে তৈরি, জলছবি সংযুক্ত এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষরিত। পুরস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, “করোনার সময় থেকেই চ্যাটবটের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র ইস্যু শুরু হয়। এখনও সেই ব্যবস্থা চলছে। তবে মাঝেমধ্যে কম্পিউটার হ্যাং করায় কাজের গতি কমছে, মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছেন।” এই অবস্থাতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যুর গতি বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) কে।












