বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গা নিয়ে আদালতে মুখ পুড়ল পুরসভার! দায় কার? কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মেয়র ফিরহাদের

Published on:

Published on:

Firhad Hakim says KMC to move High Court if illegal construction stays
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি নির্মাণ রুখতে এ বার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। আদালতের নির্দেশে যদি কোনও অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ থেমে যায়, তবে সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

ওই অনুষ্ঠানে কালিকাপুর এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক ভবনের নীচতলায় অবৈধভাবে দোকান তৈরি করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে যদিও নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ জারি হয়েছিল, কিছুদিনের মধ্যেই তা ‘রেগুলারাইজ়ড’ হয়ে যায়। অভিযোগ শুনে মেয়র ফিরহাদ (Firhad Hakim) সরাসরি বিল্ডিং বিভাগের ডিজির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চান। জানা যায়, নির্মাণকারী আদালত থেকে ‘স্টে অর্ডার’ নিয়ে আসেন এবং আদালতের নির্দেশে বরো এগজিকিউটিভই সেই নির্মাণকে জরিমানার ভিত্তিতে বৈধ ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র (Firhad Hakim)। তিনি মন্তব্য করে বলেন, “এ ভাবে আদালতের সামনে আমাদের মুখ পুড়ল! পুরসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হল! যে অফিসার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনিই পরে রেগুলারাইজ়ড করলেন কেন? তাঁকে শো-কজ় করা হয়নি কেন?”

‘হাইকোর্ট বেআইনি নির্মাণের ঢাল হতে পারে না’, মন্তব্য ফিরহাদের (Firhad Hakim)

ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এ দিন স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন যে, “হাইকোর্ট কখনও বেআইনি নির্মাণের ঢাল হতে পারে না। আমাদের আদালতকে বিষয়টি বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে ডিভিশন বেঞ্চে, দরকারে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।” মেয়রের এই বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিল্ডিং বিভাগ।

বিল্ডিং বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এর আগে নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাইনি বলে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এ বার থেকে আদালতের কোনও নির্দেশে যদি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা বন্ধ হয়, আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”

Firhad Hakim says KMC to move High Court if illegal construction stays

আরও পড়ুনঃ নতুন মুখে ভরসা মমতার! মাধ্যমিক-প্রাথমিকে শিক্ষক সেলের রদবদল তৃণমূলে, দায়িত্বে কারা?

মেয়রের (Firhad Hakim) নির্দেশে ইতিমধ্যেই পুর কমিশনারকে সংশ্লিষ্ট ফাইল পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরসভা বেআইনি নির্মাণ রুখতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরও জোরদার করছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে, অবৈধ নির্মাণে কোনও ছাড় দিলে নেওয়া হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এর ফলে পুরসভার প্রশাসনিক দপ্তরে এখনই চাপ বাড়ছে। মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী, বেআইনি নির্মাণ রুখতে শুরু হচ্ছে আরও কঠোর অভিযান।