‘নগরবন্ধু প্রকল্প’ ফেরাতে ফের তৎপর পুরসভা! প্রস্তুত রাজস্ব দপ্তর, জানালেন ফিরহাদ

Published on:

Published on:

Firhad Hakim signals green light for reviving Nagarbandhu project
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এক সময় খুব উপকারে এসেছিল নগরবন্ধু প্রকল্প। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সেই উদ্যোগ ফের চালু হতে পারে। সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পুরসভার সর্বশেষ মাসিক বৈঠকে এই বিষয়েই জোরালো দাবি তুললেন বহু কাউন্সিলর।

নগরবন্ধুর প্রয়োজন কেন আবার সামনে এল?

গত বছর কলকাতা পুরসভা চালু করেছিল ‘নগরবন্ধু’ নামের এই বিশেষ পরিষেবা। লক্ষ্য ছিল বিধবা, একা থাকা বা শারীরিকভাবে অসুস্থ প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে পুরসভার বিভিন্ন কাজ করে দেওয়া। সম্পত্তি কর জমা, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স, এমন বহু কাজের সুবিধা দেওয়া হতো বাড়িতেই। অনেক বয়স্ক নাগরিক পুরসভার অফিসে যেতে পারেন না, অনলাইনে কাজও করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধানেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন চালু থাকার পর উদ্যোগটি কার্যত থমকে যায়।

সাম্প্রতিক মাসিক সভায় একাধিক কাউন্সিলর ফের দাবি জানান, এলাকায় প্রবীণ ও ডিজিটাল সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা অনেক। তাই নগরবন্ধু প্রকল্প দ্রুত পুনরায় চালু করা প্রয়োজন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim) সেই দাবি গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। এরপর ওই বৈঠকেই তিনি বলেন, “যে সব কাউন্সিলর তাঁদের এলাকায় নগরবন্ধু দরকার মনে করছেন, তাঁরা পুরসভার চিফ ম্যানেজার (রেভিনিউ)-এর সঙ্গে দেখা করে আবেদন করুন।”

পুরসভা সূত্র জানায়, মেয়র (Firhad Hakim) যেহেতু সরাসরি বক্তব্য রেখেছেন, তাই প্রকল্প ফের চালুর সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে। রাজস্ব দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন,
“যে কাউন্সিলর আবেদন করবেন, সেই ওয়ার্ডে আমরা শিবির করে প্রবীণ নাগরিকদের নগরবন্ধু পরিষেবা দেবো।”

অনেক কাউন্সিলরই মনে করেন এই প্রকল্প প্রবীণদের জন্য অত্যন্ত দরকারি। এর কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল –

  1. এই প্রকল্প রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।
  2. মানুষের সঙ্গে পুরসভার যোগাযোগ আরও শক্ত হয়
  3. ডিজিটাল পরিষেবায় যাঁরা পিছিয়ে, তাঁদের জন্য এটি বড় সহায়ক

Firhad Hakim signals green light for reviving Nagarbandhu project

আরও পড়ুনঃ মমতার ঘোষণায় এগোচ্ছে কাজ, শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দিরের জমি চূড়ান্ত, জানাল নবান্ন

এখন সবার দৃষ্টি পুরসভার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, অনুমোদন মিললেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ফের শুরু হতে পারে এই জনপ্রিয় নাগরিকবান্ধব পরিষেবা। প্রবীণ বাসিন্দাদের কাছে এটি অনেক বড় স্বস্তির খবর।