বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নিহত নেতা সইফুদ্দিন লস্করের স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি সিপিএমকে (BJP-CPM) একজোটে কাঠগড়ায় তুললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন খুনের ঘটনায় সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপির ভূমিকাতেও প্রশ্ন তুলে দিলেন পুরমন্ত্রী।
‘ইনসাফ চাই’
এদিন সইফুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ফিরহাদ। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পর একটি সভা করেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে নিশানা করেন ফিরহাদ। মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ‘ইনসাফ চাই’।
আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি হল! হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, আমূল বদলে যাবে রাজ্যের আবহাওয়া, IMD-র আপডেট
একজোটে সিপিএম বিজেপিকে নিশানা
সভায় দাঁড়িয়ে ফিরহাদের সাফ কথা, “সিপিএমকে কেউ এক মুহূর্তও সহ্য করবেন না।” তিনি বলেন, ‘সিপিএম বিজেপি একজোট হয়েছে। এখানে সিপিএম সামে রয়েছে বিজেপি তাদের অর্থ জোগাচ্ছে। অপরাধীদের ধরে যেন শাস্তির ব্যবস্থা হয়’।
মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস
এদিন নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। ও একটা ইদগাঁ বানাতে চেয়েছিল। সেটা আমরা বানিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের টাকায় সেটা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’ পাশাপাশি এলাকায় মৃত তৃণমূল নেতার নামে পার্টি অফিস তৈরী হবে বলেও জানান ফিরহাদ।
কী হয়েছিল?
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর ভোরবেলা মসজিদে যাচ্ছিলেন সাইফুদ্দিন। সেই সময় তার উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মৃত সাইফুদ্দিন লস্কর। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্কর বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান। সাইফুদ্দিন খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পাশের গ্রামে একের পর সিপিএম কর্মীদের একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।